দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডির জিরো পয়েন্টের গোবরাবিলের পদ্মে জেলার দুর্গাপুজোয় সরবরাহ করা হচ্ছে। কুশমণ্ডির গোবরাবিল, ঠেঙ্গাপাড়ার মহিপুর, শ্যামপুর বিল ও তপন দিঘিতে প্রাকৃতিক নিয়মে ফোটা পদ্ম ফুল স্থানীয় বাসিন্দারা সংগ্রহ করে জেলার ফুল বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। গোবরাবিলের পদ্ম জেলার ফুল বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে পুজোর পাঁচটা দিন আনন্দে কাটান স্থানীয় ফুল সংগ্রাহকরা ।
গোবরাবিল ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গ্রামের একাংশ কৃষক ও যুবকরা ভারতীয় জওয়ানদের অনুমতি নিয়ে কাঁটাতারের ওপারে জমি রক্ষণাবেক্ষণ করেন ও ফিরে আসার সময় গোবরাবিল থেকে পদ্ম সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। তাঁরা ফুল বিক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি করেন। এতে পুজোর মরশুমে সংগ্রহকারীদের পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটে। জেলায় কয়েকশ ছোট বড় দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। দুর্গাপুজোয় পদ্ম ফুলের আকাল দেখা দেয়। পুজোর সময় বিগত বছর গুলিতে পদ্ম ফুলের চাহিদা মিটিয়েছে কাঁটাতারের ওপারের জিরো পয়েন্টের গোবরাবিল। এছাড়াও ভালো মানের পদ্মফুল এবারে বেঙ্গালুরু থেকে আসা শুরু করেছে। গোবরাবিলে এবছর ব্যাপক পদ্মফুল হয়েছে। এবারে বেশি পরিমাণ পদ্মফুল সংগ্রহ করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় বুক বাঁধছেন গোবরাবিলের ফুল সংগ্রহকারীরা। তবে পুজোর মুখে আক্ষেপ ফুল সংগ্রহকারীদের যে পদ্মফুলের এবারেও দাম বাড়ল না। এক ফুল সংগ্রহকারী নিত্য দেবশর্মা বলেন, আমার গোবরাবিল এলাকায় বাড়ি। কাঁটাতরের ওপারে জমি রয়েছে। জমি থেকে কাজ করে ফেরার সময় ফুল তুলে আনি। সকালে গঙ্গারামপুরে ফুল মার্কেটে বিক্রি করে আসি। এবারে ১০০ পদ্ম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুজোর ১০ দিন আগে থেকেই এই কাজ করি। ফুল সংগ্রহ করেই পরিবারের সদস্যদের নতুন জামা থেকে পুজোর আনন্দ করি। গোবরাবিলে এবারে প্রচুর ফুল ফুটেছে। যে বার ফুল হয় না সেই বার পুজোর সময় আমাদের নতুন জামাকাপড় কেনা হয় না। গঙ্গারামপুরের ফুল বিক্রেতা কালী রায় বলেন, এবারে ব্যাপক উৎপাদন স্থানীয় পদ্মের। আমরা পুজোর মুখে একশটা পদ্ম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করব। এক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর পদ্ম ১৫০০ টাকায় বিক্রি হবে। বিল এলাকার স্থানীয়রা ফুল নিয়ে আসছে। আমরাও পুজো উপলক্ষ্যে ফুল মজুত করতে শুরু করেছি। নিজস্ব চিত্র