• সাগরদিঘিতে জাতীয় সড়কে দুই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ, আগুনে পুড়ে মৃত ১ চালক, জখম ২
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: বৃহস্পতিবার সকালে সাগরদিঘির ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে শেখদিঘিতে দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি লরিতে আগুন ধরে যায়। পরে অপর লরিটিতেও সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। লরির কেবিনেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক চালকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রহমান আলি (৩২)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর থানার বারবেরিয়া গ্রামে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। অপর লরির চালক ও খালাসি অগ্নিদগ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। অপর লরির চালকেরও শরীর ঝলসে গিয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়। ঘণ্টা ছ’য়েক পরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সাগরদিঘি থানার পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর লরি দু'টিতে আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। লরি দু'টিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেই দমকল কেন্দ্রে খরব দিয়েছি। দুর্ঘটনার কবলে পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য লোকজনদের বলেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে প্রাণ বাঁচিয়েছে। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে চা বোঝাই একটি লরি বহরমপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। লরিটি শেখদিঘি এলাকায় পৌঁছতেই বালি বোঝাই অপর একটি লরি পাম্পে পেট্রল ভরতে যাওয়ার সময় দু’টি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তারপর চা বোঝাই লরিটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই লরিটি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। চালক ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। লরির মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ততক্ষণে বালি বোঝাই লরিটিতেও আগুন ধরে যায়। সেই লরিতেও চালক ও খালাসি আটকে পড়ে। লরিটির পিছনের দিকে আরও চারজন শ্রমিক ছিলেন। শ্রমিকরা লরির সামনের দিকে কাঁচ ভেঙে চালক ও খালাসিকে কোনওক্রমে বাইরে বের  করে আনতে সক্ষম হয়। চালকের দেহের নিম্নাংশ আগুনে ঝলসে গিয়েছে। খালাসি সামান্য আঘাত পেয়েছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দু›টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। দুর্ঘটনার ফলে জাতীয় সড়কে এক দিনে দু’টি লেনই কার্যত বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অপর দু'টি লেন দিয়ে গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কের উভয় দিকে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া লরি দু'টি সরিয়ে দেয় পুলিশ। এদিন দুপুরে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    স্থানীয় যুবক সবেজান শেখ বলেন, লরি দু'টি ধাক্কার পরেই আগুন ধরে যায়। চালক বেরিয়ে আসতে পারেননি। অন্য লরিতে কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে আশপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ ছুটে আসে।
  • Link to this news (বর্তমান)