• বড়নগর নবারুণ সঙ্ঘের পুজোতে থিম উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দির
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: গত কয়েক বছরে থিম বা শিল্প ভাবনার অভিনবত্বে যে কয়েকটি পুজো জেলাবাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম রানি ভবানী খ্যাত বড়নগর নবারুণ সঙ্ঘের পুজো। ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ের এই ক্লাবটির পুজো এবার ৬৬ বছরে পা দিল। প্রথমে থেকে উদ্যোক্তারা সাবেকিয়ানায় ভরসা রাখলেও গত চার বছর ধরে থিমের পুজো করে আসছে। প্রথম দু’বছর কাল্পনিক শিব মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়া হয়েছিল। গত বছরের থিম ছিল কেদারনাথ মন্দির। এবারের থিম মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়নীর মহাকালেশ্বর মন্দির। ৮৫ ফুট উচ্চতার বিশাল মণ্ডপ নির্মাণে বাঁশ, বাটাম, ফাইবার, কাপড়, বং প্রভৃতি উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। শিল্পীরা প্রায় দু’মাস ধরে দিনরাত এক করে সুবিশাল মণ্ডপটি গড়ে তুলেছেন। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথা মেনে সোজা রথের দিন কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে নবারুণ সঙ্ঘের পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। এরপর দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। শনিবার পঞ্চমীর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর উদ্বোধন হবে। পুজো উপলক্ষ্যে অষ্টমীর দুপুরে প্রায় দু’হাজার মানুষকে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয়। ওইদিন বড়নগরবাসীর হেঁশেলে উনুন জ্বলে না।  একাদশী পর্যন্ত মণ্ডপে প্রতিমা থাকবে। দ্বাদশীতে ভাগীরথীর ঘাটে দেবীকে বিদায় জানানো হবে। থিমের পুজোর প্রথম বছর থেকে বড়নগরে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। ঠাকুর দেখতে দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন পড়ে। বড়নগর নবারুণ সঙ্ঘের থিমের টানে আজিমগঞ্জ, জিয়াগঞ্জ, নবগ্রাম, সাগরদিঘির পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলা বীরভূম থেকেও বহু মানুষ আসেন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর রানি ভবানী বড়নগরে আট বছর ছিলেন। তিনি বড়নগরকে দ্বিতীয় কাশী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বড়নগরে তৈরি করেছিলেন একাধিক শিব মন্দির। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে ভারতবর্ষের সকল শিব ভূমিকে একে একে বড়নগরে হাজির করার উদ্যোগ নিয়েছি। পুজো কমিটির সদস্য প্রসেনজিৎ কর, সুখেন সরকার, ভোলানাথ দে, সুবীর কর বলেন, থিমের পুজোর প্রথম বছর থেকে আমরা মানুষের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে প্রতি বছর দর্শনার্থীদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)