• গৌরাঙ্গ প্রভুর উপনয়ন লীলা মন্দিরে পূজিতা হন দেবীদুর্গা
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপে বৈষ্ণব মন্দিরে পূজিতা হন জগজ্জননী দেবী দুর্গা। নবদ্বীপের মহাপ্রভু পাড়ায় শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর উপনয়ন লীলা মন্দিরে বৈষ্ণব মতে পূজিতা হন দেবী। এই পুজো এবার তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। এখানে দেবীমূর্তি একচালা ডাকের সাজে সজ্জিতা। দেবীর বাহন ঘোটক রূপী সিংহ। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য, দেবীকে এখানে ঘরের মেয়ে হিসেবে মনে করা হয়। তাই পুজোর সময় উমাকে বিভিন্ন ধরনের চাটনি, আচার নিবেদন করা হয়। পুজোর দিনগুলিতে শুধু স্থানীয়রা নন, পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারাও মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। দেবীর কাছে পুজো, অঞ্জলি দেন। এখানে চতুর্থীর দিন মন্দিরে প্রতিমা আনা হয়। এবার পঞ্চমীতে বোধন। ষষ্ঠী যেহেতু সকাল পর্যন্ত, তাই বেশি সময় না থাকায় পঞ্চমীতেই দেবীর বোধন হবে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিনই দেবীকে অন্ন, খিচুড়ি, বিভিন্ন ভাজা, পুষ্পান্ন, পঞ্চব্যঞ্জন, পরমান্ন, নানা মিষ্টি সহকারে ভোগ দেওয়া হয়। তবে দশমীতে দেবীকে পান্তাভোগ, নানা ভাজা, শাপলা, কচুর শাক নিবেদন করা হয়। শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর উপনয়ন লীলা মন্দিরে সোনার গৌরাঙ্গ বাড়ির সেবাইত দুর্গা গোস্বামী বলেন, আমরা দেখেছি, মেয়েরা বাপেরবাড়ি এসে মায়ের কাছে বিভিন্ন খাবার খেতে চান। তেমনি এখানে ঘরের মেয়ে উমাকে সেইভাবেই চাটনি, বিভিন্ন ধরনের আচার নিবেদন করা হয়। মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার সামনে ঘটে পটে দক্ষিণা কালীর পুজো করা হয়। প্রতি বছরই দশমীতে দেবীকে শোভাযাত্রা সহকারে ভাগীরথীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু এবছর দশমী বৃহস্পতিবার পড়ায় পরের দিন, শুক্রবার দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হবে।

    দুর্গাদেবী আরও বলেন, এই মহাপ্রভু পাড়া এলাকায় কোনও পুজো হয় না। একটা সময় হাতেগোনা দু’-একটি গৃহস্থ বাড়িতে দুর্গাপুজো হতো। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে সেই পুজোগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর দিনগুলিতে এই এলাকা কার্যত নিস্তব্ধ হয়ে থাকত। তাই আমরা চিন্তা-ভাবনা করেই মহাপ্রভুর উপনয়ন মন্দিরে দেবীর পুজো শুরু করি। প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজন, সবক্ষেত্রেই এলাকার দাদা ও ভাইরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। জগজ্জননী মন্দিরে আসছেন। তাই তাঁকে ঘিরেই পুজোর দিনগুলিতে আমরা সকলে আনন্দ মেতে উঠি।
  • Link to this news (বর্তমান)