• প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা এবার বাগনানের পুজো মণ্ডপে
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পাপ্পা গুহ  উলুবেড়িয়া

    সপরিবারে কৈলাস থেকে উমার মর্তে আগমনকে স্বাগত জানাতে চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা আর সুদৃশ্য মণ্ডপে সেজে উঠছে শহর থেকে গ্রাম। কোথাও থিম আবার কোথাও সাবেকিয়ানা। হাওড়া জেলার বাগনানে গত কয়েক বছরের মতো এবারও একাধিক পুজো কমিটি থিমের মোড়কে সাজিয়ে তুলেছে তাদের মণ্ডপ। যেমন খালোড় যুব সঙ্ঘ। এবার তাদের ভাবনা বাঙালি অস্মিতা। সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে বাংলার ইতিহাসকে স্মরণ করাতে তাদের এই ভাবনা। পুজো মণ্ডপে পাল বংশ, সেন বংশের ইতিহাস, পলাশির যুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদিকা মৌসুমি সেন জানান, বাংলার ইতিহাসকে আরও বেশি করে মানুষের স্মৃতিপটে তুলে ধরতে আমাদের এই ভাবনা। এ থেকেই মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে বাঙালি অস্মিতার জাগরণ হবে। বাংলার হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছে বাগনানের খালোড় শিশু সঙ্ঘ। পুজো কমিটির সভাপতি সমীর সামন্ত জানান, আমাদের প্রতিমা তৈরি করেছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। অন্যদিকে প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিয়ে খালোড় দক্ষিণপল্লির এবারের ভাবনা ‘মাটির গন্ধে জাগুক প্রাণ’। মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপে কুমোর এবং প্রতিমা শিল্পীদের মডেলও রাখা থাকবে। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, এখন প্লাস্টিকের বহুল ব্যবহার দেখা যায়। আর এর বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই আমাদের এই ভাবনা। যদি মাটির কাজ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে তাহলে কুমোর ও প্রতিমাশিল্পীদের জীবনে সমস্যা বাড়বে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই মণ্ডপে কুমোর ও প্রতিমাশিল্পীদের মডেল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বাঁটুল প্রগতি সঙ্ঘ রাজস্থানের জল মন্দিরের আদলে তাদের মণ্ডপ তৈরি করছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)