নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোর মুখে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে গড়িয়াহাট-হাতিবাগান। মঙ্গলবার গড়িয়াহাট-বালিগঞ্জ চত্বরের সমস্ত দোকান বন্ধ ছিল। তারপর ভিজে যাওয়া মালপত্র শুকিয়ে নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশের নির্দেশ ছিল, বৃহস্পতিবার দুপুরেই ফুটপাত খালি করতে হবে। কিন্তু ইউনিয়নের অনুরোধ মেনে বৃহস্পতিবার গোটা দিন গড়িয়াহাটের ব্যবসায়ীদের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয় পুলিশ। এদিকে, হাতিবাগান বাজারে এদিন খুব একটা কেনাকাটার বহর ছিল না। লোকজন ঠাকুর দেখাতেই মন দিয়েছিলেন।
গড়িয়াহাট ইন্দিরা হকার্স ইউনিয়নের সম্পাদক দেবরাজ ঘোষ বলছিলেন, ‘আমরা পুলিশের কাছে আবেদন করলাম। পুলিশ সেই আবেদন রেখেছে। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে দোকান বন্ধ করতে হবে।’ তৃতীয়ার দিন দেখা গেল, ঠাকুর দেখতে এসে গড়িয়াহাট বাজারে কেনাকাটাও চালালেন দর্শনার্থীরা। বিক্রেতারা বলছেন, ‘আজকে দোকান খুলতে দিয়েছে বলে আমাদের সুবিধা হল। অনেক লোকজন ঠাকুর দেখতে আসছেন। আমাদের দোকানে কিছু দেখে পছন্দ হলে কিনে নিচ্ছেন।’ বালিগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক জল দাঁড়িয়েছিল মঙ্গলবার। এদিন সকালে দেখা গেল, মুদি দোকানিরা রাস্তায় চাল-ডাল শুকোতে দিয়েছেন। কর্নফিল্ড রোড এলাকায় বুধবার রাতে বিদ্যুত্ এসেছে। পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জল বাসিন্দারা এদিন সরাচ্ছিলেন। খারাপ হয়ে যাওয়া গাড়িও এদিন সারাতে দেখা গেল।
এদিকে, হাতিবাগান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘রবিবার পর্যন্ত টুকটাক কেনাকাটা চলবে। উইকএন্ডে লোকজন আরও বের হলে ভালোই ব্যবসা হবে।’ কিন্তু এদিন হাতিবাগান চত্বরে লোকজন দোকানমুখী কম ছিলেন। বেশিরভাগটাই ছিলেন মণ্ডপমুখী।