• লাদাখের ‘গণবিক্ষোভ’ দমাতেও হাতিয়ার কেন্দ্রীয় এজেন্সি! বাস্তবের ‘র‍্যাঞ্চো’র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের
    প্রতিদিন | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: লাদাখের বিক্ষোভ থামাতে এবার নিজেদের অন্যতম ‘প্রিয় অস্ত্র’ ব্যবহার শুরু করল কেন্দ্র। শীতল মরুভূমিতে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ সোনম ওয়াংচুকের পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হল সিবিআইকে। একই সঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হল সোনমের শিক্ষামূলক সংস্থার বিদেশি তহবিল গ্রহণ করার অনুমোদনও। সূত্রের খবর, এর পর সোনমের বিরুদ্ধে তদন্তে নামবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।

    এদিকে, পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন দুই নেপালি নাগরিক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে দু’জনেই গুলিতে আহত হয়েছেন। শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল এই ঘটনার পিছনে বিদেশি মদত রয়েছে। নেপালি নাগরিকদের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা সরকারের এই দাবিকে আরও জোরদার করেছে।

    গত মাসেই সোনম ওয়াংচুকের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ লার্নিং (এইচআইএএল)-এর ৪০ বছরের জমির লিজ বাতিল করে লাদাখ প্রশাসন। এবার সোনমের আর এক প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অব লাদাখ (সেকমোল)-এর বিদেশি তহবিল গ্রহণ করার অনুমোদন বাতিল করে সংস্থার দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে দায়িত্ব দেওয়া হল সিবিআইকে। সোনমের বিদেশি অনুদানের হিসাব এবং তাঁর বিদেশ সফরের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।

    গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করছেন স্থানীয়রা। অরাজনৈতিক এই আন্দোলনে শুরু থেকেই প্রথম সারিতে ছিলেন ম্যাগসাইসাই-সহ নানা আন্তর্জাতিক সম্মান প্রাপ্ত সোনম। অতীতেও বারবার তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আঘাত হানা হয়েছিল। ফের সেই পথে হাঁটল কেন্দ্র। এবার হাতিয়ার করা হল সিবিআইকে। এতদিন বিভিন্ন বিরোধী দল দাবি করে এসেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স-সহ নানা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার।
  • Link to this news (প্রতিদিন)