• সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পদ ফেরত শিক্ষকের
    আনন্দবাজার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রেজিস্ট্রার পদে সুজিত চৌধুরীর পুনর্বহাল নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগে সিনিয়র ফ্যাকাল্টি (বিজ্ঞান) পদে পুনর্বহাল হলেন শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ওই পদে যোগ দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে তাঁর ক্ষোভ কমেনি। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই, কত ধরনের অপমানের শিকার। সব শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জয় নিয়ে আসার পরেও, ৫৬ দিন ধরে ইচ্ছাকৃত উপেক্ষা আর অপমান’। সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন শুভপ্রসাদ। তার পরেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ইমেল করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানার পরামর্শ দেন। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুনর্বহালের জন্য শুভপ্রসাদকে চিঠি পাঠান।

    বৃহস্পতিবার শুভপ্রসাদের পুনর্বহালের পরেই, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভূগোল বিভাগের সায়েন্টিফিক অফিসার দেবপ্রকাশ পাহাড়িকে অব্যাহতির নোটিস দেন অস্থায়ী রেজিস্ট্রার। অরিজিৎ বলেন, “শীর্ষ কোর্টের নির্দেশের পরে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়ে নির্দেশিকা চাওয়া হয়েছিল। বুধবার নির্দেশিকা পেয়ে শুভপ্রসাদকে পুনর্বহালের চিঠি দেওয়া হয়।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ২০২৩-এর অগস্টে ৬০-এ পা দেন শুভপ্রসাদ। তার আগে থেকে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশ উল্লেখ করে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাতে বিশ্ববিদ্যালয় কান দেয়নি। তিনি হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করে জেতেন। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য ওই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় জেতে। ওই বছর ডিসেম্বরে শুভপ্রসাদকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়। তবে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ৩০ জুলাই কোর্ট রায় দেয়, শুভপ্রসাদ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্বহাল হতে পারবেন। শুভপ্রসাদ বলেন, “ওই রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে পুনর্বহাল করা হয়নি। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা পর্যন্ত করেছে।”

    সম্প্রতি তিনি সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলাও করেন। নোটিস পেয়েই উচ্চ শিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয়। শুভপ্রসাদের কথায়, “জয়ের আনন্দ পাচ্ছি না। আইনি লড়াই লড়তে আমি ক্লান্ত।” সুজিতকে রেজিস্ট্রার পদে পুনর্বহালের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরই চিঠি দিয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয়। সুজিতের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে এক ছাত্রের মামলাও হাই কোর্ট খারিজ করেছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)