রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর অনুদান এ বার বেড়ে হয়েছে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। তাতেই ধাক্কা খাচ্ছে অন্য অনুদান। চাঁদা চাইতে গেলে অনেক গৃহস্থ সরকারি অনুদানের কথা শোনাচ্ছেন। এমনকী অনুদান বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান বৃদ্ধিকে ঢাল করছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাও।
খড়্গপুর পুরসভা এ বারও পুজোর অনুদান দিচ্ছে না। গত বছরও ওই অনুদান দেওয়া হয়নি বলে পুরসভার দাবি। তবে ২০১৫ সালে তৃণমূল পুরবোর্ড দখলের পরে পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের মহিলা পরিচালিত পুজোগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হত। গত বছর আর জি কর-কাণ্ডের পরে মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলি বাজেটে কাটছাঁট করেছিল। অনেকেই নিয়মরক্ষার পুজো করেছিল। ফুলে, পুরসভার অনুদান না পেলেও শোরগোল পড়েনি। তবে এ বার পুজোর বাজেট বেড়েছে মহিলাদের পুজো কমিটিগুলিরও। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে মহিলা পুজোগুলিকে এ বারও অনুদান দেওয়া হবে না। পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষের যুক্তি, “ওঁরা তো মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান পাচ্ছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী অনুদান বাড়িয়েছেন। তাই আমরা আর আলাদা করে অনুদান দিচ্ছি না। তাছাড়া পুরসভার এখন এত টাকাও নেই।”
বাজেট বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও পুর-অনুদান না মেলায় ক্ষুব্ধ মহিলা পরিচালিত পুজোর উদ্যোক্তারা। বুলবুলচটি সর্বজনীন মহিলা দুর্গাপুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি জুবলি সরকার বলেন, “এ বার পুজোর খরচ বেড়েছে। আমরা একটা স্থায়ী মন্দির করেছি। সামনে জায়গা কিনেছি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান পাচ্ছি ঠিকই। কিন্তু পুরসভা যে ১০ হাজার টাকা দিত সেটা একেবারে বন্ধ করা উচিত নয়। কিছুটা পেলেও তো সাহায্য হয়।” মালঞ্চর মহিলা পরিচালিত পুজো ‘মৈত্রেয়ী’র সম্পাদক মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “পুরসভার অনুদান প্রদীপ সরকার পুরপ্রধান হওয়ার পরে চালু করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানের পাশাপাশি পুর-অনুদান সামান্য হলেও আমাদের অনেক সাহায্য হত। আমরা মহিলারা চাঁদার জন্য বহু দূর যেতে পারিনা। পুরসভা অনুদান না বাড়াতে পারে। কিন্তু বন্ধ করাটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।”