হাওড়া শহরের সঙ্কীর্ণ রাস্তাঘাটের কথা চিন্তা করে পুজোর দিনগুলিতে দুপুর দুটো থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টোটো এবং অটো চলাচল নিষিদ্ধ করছে পুলিশ। তবে, বাসিন্দারা কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে বিশেষ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম শিথিল করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘দর্শনার্থীরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন এবং অহেতুক যানজট না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। আজ, শুক্রবার থেকে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলেও। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত শহরে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি চলতে পারবে না।’’
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার শহরে মোট পুজো হচ্ছে ১৪৮৬টি। এর মধ্যে ৮১টি বড় পুজো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় আড়াই হাজার পুলিশকর্মী রাস্তায় থাকবেন। ইভটিজ়িং ঠেকাতে থাকছে মহিলা পুলিশের ‘উইনার্স’ বাহিনী। ৫৮টি জায়গায় পুলিশ বুথ করা হচ্ছে। বেশি বৃষ্টি হলে পুরসভার পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। পুলিশ কমিশনার জানান, এ বছর হাওড়া ময়দান এবং হাওড়া মেট্রো স্টেশন দিয়ে প্রচুর দর্শনার্থী আসতে পারেন। তাই ওই দুই জায়গায় থাকছে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা।
পুজোর মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য এ দিন দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করল হাওড়া পুরসভা। শহরের কোনও বাসিন্দা বাড়িতে বা রাস্তায় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে ৬২৯২২৩২৮৭০ নম্বরে ফোন করলে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাবে ওই অ্যাম্বুল্যান্স।