আদিবাসী স্কুলছাত্রী খুনে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের প্রাক্তন গৃহ-সহায়িকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল বীরভূম জেলার বিশেষ আদালতে।
সূত্রের খবর, ওই মহিলা অভিযুক্ত শিক্ষককে বস্তাবন্দি ছাত্রীর দেহ বাইরে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন। পুলিশের তরফে ওই মহিলাকে ঘটনার প্রধান সাক্ষী হিসাবে বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ানো হয়। এ দিন দুপুরে মহিলাকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় কোর্ট থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে কোর্টে আনা ও বার করার সময় আদালত চত্বরে চোখে পড়ার মতো পুলিশি ব্যবস্থা ছিল।
তদন্তকারীদের দাবি, ছাত্রীকে খুনে অভিযুক্ত তারই স্কুলের শিক্ষক নিজের ভাড়া বাড়িতে মেয়েটিকে খুন করার পরে দেহ কোথায় কী ভাবেলোপাট করবে, তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে। পরের দিন সে তিন মাস আগে তার বাড়িতে গৃহ-সহায়িকার কাজ ছেড়ে দেওয়া ওই মহিলাকে ডাকে। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি এসে অভিযুক্তকে তিনটি বস্তায় ছাত্রীর দেহাংশ নিয়ে যেতে দেখেছিলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ডিএনএ পরীক্ষায় নিহত ছাত্রীর বাবা ও মায়ের রক্তের নমুনার সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি থেকে সংগৃহীত রক্তের নমুনার মিল পাওয়া গিয়েছে। খুনের ঘটনার পুনর্গঠনও ইতিমধ্যেই পুলিশ করে নিয়েছে বলে খবর। খুব শীঘ্রই চার্জশিট জমা পড়তে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘সব দিক দিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।’’