• জেলায় বাড়ছে পুজো, নেপথ্যে কি অনুদান
    আনন্দবাজার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ধারাবাহিক ভাবে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পুজোর সংখ্যা বাড়ছে। এ বারও তার ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) রাহুল মিশ্র জানাচ্ছেন, গতবারে জেলায় অনুদানপ্রাপ্ত পুজোর সংখ্যা ছিল ২৭০৭টি। কতগুলি পুজো বাড়ছে নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও গতবারের তুলনায় অনুদানপ্রাপ্ত পুজোর সংখ্যা শ’খানেক বাড়বে।

    নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের আধিকারিক এবং পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই মানছেন, এই সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদানের ‘মোহ’। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত জোর সংখ্যা ছিল ২০৬৫টি। ২০২০ সালে তা হয় ২৪৫০টি। ২১ সালে পুজোর সংখ্যা ছিল ২৪৮৭টি। ২২ সালে বেড়ে হয় ২৫৬০টি। ২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৬৪৭টি। সেই সংখ্যা বেড়ে২৮০০-তে পৌঁছে গেল। প্রশাসন সূত্রেই খবর, সেখানে প্রতি ব্লকেই গড়ে চার থেকে পাঁচটি করে বারোয়ারি পুজো বাড়ছে।

    সিভিল অ্যাডমিনেস্ট্রেশন পুজোর অনুমতি দিলেও অনুদান দেওয়ার বিষয়টি বিবেচিত হয়েছে জেলা পুলিশের সিদ্ধান্তেই। প্রকাশ্যে প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য বলছেন, যে পুজোগুলি হচ্ছিল, সেগুলিই হচ্ছে। হাতেগোনা কিছু পুজো বাড়ছে জেলায়। স্থানীয় থানার মাধ্যমে নতুন করে অনুদান পেয়েছেন। তবে পুজো সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে একদা পারিবারিক পুজো ‘বারোয়ারি’ পুজো হিসেবে গণ্য হওয়া, কয়েক বছর ধরে পুজো শুরু হয়েছে এমন পুজোও থাকছে।

    জেলার বেশ কয়েকটি থানা সূত্রে খবর, আগের বার যে থানা যতগুলি পুজোকে সরকারি অনুদানের চেক বিলি করেছিল সেগুলি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। নতুন আবেদনের সাপেক্ষে জেলাপুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলেই পঞ্চমী পর্যন্ত চেক চলে আসবে। যা স্বস্তি দেবে অনুদানপ্রাপ্ত পুজোর উদ্যোক্তাদের।

    যে সব পুজো অনুদান পেয়ে থাকে, সেই পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ জানান, সমালোচনা আছে তবে সরকারি অনুদানে একদিকে যেমন বারোয়ারি পুজোর জাঁক বেড়েছে। তেমনই গ্রামীণ পুজোগুলি কার্যত বেঁচে গিয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)