কুলপি, ডায়মন্ড হারবার, মন্দিরবাজার, ফলতা— বিভিন্ন এলাকা থেকে কলকাতার যাওয়ার জন্য অন্যতম অপরিহার্য ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই সড়কেই বার বার ঘটছে দুর্ঘটনা, বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। বাড়ছে আতঙ্ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দশটির বেশি রুটের বাস চলাচল করে। সরিষা ও আমতলা এলাকায় যানজট পেরনোর পরেই পরেই কলকাতাগামী বাসগুলির মধ্যে রেষারেষি শুরু হয় বলে অভিযোগ। একই ভাবে কলকাতা থেকে ফেরার সময়েও আমতলার যানজট পেরতেই রেষারেষি বাড়ে। এর জেরে বার বার ঘটছে দুর্ঘটনা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে তামাকের ঠেস, দোস্তিপুর, ফতেপুর, শিরাকোল ও বঙ্গনগর এলাকায় সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বার বাস উল্টে গিয়ে যাত্রীরা আহত হয়েছেন। মাসখানেক আগে বঙ্গনগরের কাছে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেলে বেশ কয়েক জন যাত্রী গুরুতর জখম হন।
নিত্যযাত্রী স্বপন মান্না ও সাইদুল পিয়াদারা বলেন, “রেষারেষির জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা হচ্ছে। বাস উল্টে যাওয়ার ঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কিত।” স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ কুঁতি ও মল্লিকা হালদারদের কথায়, “বেপরোয়া গতির গাড়ি বাড়ছে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। তাই একা রাস্তায় যেতে দিই না।”
‘জয়েন্ট কমিটি অফ বাস অপারেটর্স’-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা শাখার তরফে রইচ মোল্লা ও মলয় বৈদ্যেরা বলেন, “দুর্ঘটনা বাড়ায় আমরাও উদ্বিগ্ন। প্রত্যেকটি রুটের বাসচালককে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠকও হয়েছে।” ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সরিষা ও আমতলায় ট্রাফিক আউটপোস্টে কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুনকুমার দে জানিয়েছেন, বাস চালকদের ট্র্যাফিক নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। নিয়ম ভাঙলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।