দুর্গোৎসবে এ বার সৃজনশীলতার ঝলক রানাঘাট শহর জুড়ে। রেললাইনের পূর্ব পারে মুক্তি সঙ্ঘের ৭৫ বর্ষে নেপালের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। দেড় মাস ধরে ধুবুলিয়ার শিল্পীরা বাঁশ, কার্ডবোর্ড, কাপড় ও রঙের নিপুণ ব্যবহারে খেলার মাঠে গড়েছেন ৬০-৭০ ফুট উঁচু মণ্ডপ।
এই মণ্ডপের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করছে কৃষ্ণনগরের পালপাড়া থেকে আনা প্রতিমা। উদ্যোক্তা দীপঙ্কর সাহা জানান, তৃতীয়ার রাত থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। মুক্তি সঙ্ঘ থেকে অল্প দূরেই উত্তর নাসড়া নব শক্তি সঙ্ঘ। তাদের থিম দিল্লির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম। অপর দিকে, পশ্চিম পারে উদয়ন সঙ্ঘ মণ্ডপ গড়েছে দিল্লির পদ্ম মন্দিরের আদলে।
তবে শুধু মন্দিরের অনুকরণ নয়। পাইকপাড়া ব্রতী সঙ্ঘের ৮০তম বর্ষে থিম ‘মাতৃঋণ’। চারের পল্লির মণ্ডপে ফুটে উঠেছে বাংলার আদি রূপ— গামছা, তালপাতার হাতপাখা আর 'কালের বোধনের' অনন্য শিল্পসম্ভারে। শ্যামসুন্দর পাড়ার থিমে প্রতিফলিত হয়েছে ‘শেষ অধ্যায়’, যা চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে দর্শনার্থীদের। সব মিলিয়ে, এ বার রানাঘাটের দুর্গাপুজো এক বহুমাত্রিক শিল্পোৎসব।