• তামান্না মামলায় পুলিশের রিপোর্ট তলব হাই কোর্টে
    আনন্দবাজার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • কালীগঞ্জের ভোটে বোমায় নিহত তামান্না খাতুনের মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট।

    বৃহস্পতিবার তামান্নার মায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, পুলিশের কাছে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। নিহতের মা যেহেতু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং প্রধান সাক্ষী, সেই ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী মায়ের সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করতে পারে পুলিশ। বিচারপতি ঘোষ বলেন, “২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মৃতের মা, কী করে শুধু ১০ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হল? কেন বাকি ১৪ জনের নাম নেই?”

    রাজ্যের আইনজীবী যুক্তি দেন, তদন্ত এখনও চলছে। অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করবে পুলিশ। এক অভিযুক্তকে খুঁজতে নাগপুর গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। মৃতের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টার পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পাল্টা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তদন্তে আমি সন্তুষ্ট নই। ১২ জন খুব ভাল সাক্ষী রয়েছে, উপযুক্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।” তামান্নার মা সাবিনা খাতুন বলেন, "পুলিশের তদন্তে আমিও খুশি নই। হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা পুলিশ কতটা মানে তা দেখতে হবে।“ তিনি আরও বলেন, “হাই কোর্ট এক মাসের সময় দিয়েছে, এই সময়ে পুলিশ কী করতে পারে দেখি।”

    প্রসঙ্গত, পুলিশের তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাবিনারা। তাঁদের আইনজীবী শামিম আহমেদের অভিযোগ, সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে পরিবারটিকে। তাঁর আবেদন, নিরপেক্ষ সংস্থার দ্বারা তদন্ত, বোমা বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত, পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিক আদালত।

    তবে এ দিন সময় না থাকায় বিস্তারিত শুনানি হয়নি। অভিযোগে নাম থাকা অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার এবং পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁর আরও নির্দেশ, মৃতের পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করা যাবে এবং সেই আবেদন বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী নির্দেশ দেবেন নিম্ন আদালতের বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ অক্টোবর।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)