এ বছর রজতজয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করল তাহেরপুরের ক্লাব সম্মিলনী দুর্গোৎসব। এই বিশেষ উপলক্ষে তাদের থিম দিঘার জগন্নাথ মন্দির। মণ্ডপের প্রতিটি কোণে সুদৃশ্য কারুকার্য, ঝলমলে আলোকসজ্জা এবং দেবদেবীর মূর্তিতে ধরা পড়েছে শিল্পীদের সৃজনশীলতা।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পূজোর থিম নিয়ে আলোচনা করার দিনেই মুখ্যমন্ত্রী দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন। তখনই সিদ্ধান্ত হয় যে মণ্ডপ হবে মন্দিরের আদলে। কাঠ, বাঁশ, প্লাই বোর্ড, কাপড় ও প্লাস্টার অব প্যারিসের কারুকার্যে তৈরি হয়েছে এই মণ্ডপ। বাইরে ভাস্কর্যে ভরপুর নকশা, ভিতরে ঝাড়বাতি আর সূক্ষ্ম খোদাই করা শিল্পকর্ম দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে।
মণ্ডপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিমাতেও রাখা হয়েছে অভিনবত্ব। প্রতিমার গায়ে রয়েছে পিতলের কাজ, যা দিয়েছে এক ভিন্ন আভা। শৈল্পিক এই প্রতিমা মণ্ডপের সঙ্গে যেন একাত্ম হয়ে উঠেছে। মণ্ডপ চত্বরে বসে দোকানপাট, খাবারের স্টল, খেলনা থেকে শুরু করে স্থানীয় শিল্পীদের হস্তশিল্প— সব মিলিয়ে জমে ওঠে মেলার আবহ।
ক্লাব সম্মিলনী আগেও দর্শকদের চমকে দিয়েছে আমেরিকার লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির বা অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে। প্রতি বারই তাদের পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হয়। উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বার রজতজয়ন্তী বর্ষে সেই ভিড় আরও বাড়বে।
ক্লাবের কর্তা সুকান্ত দত্ত ও নয়ন ঘোষ বলেন, “প্রত্যেক বছরই আমরা চেষ্টা করি নতুন কিছু উপহার দিতে। এই বছর দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই এই থিমে মণ্ডপ করা হবে। দর্শনার্থীরা আয়োজন দেখে সন্তুষ্ট হবেন বলেই আশা।”
তাহেরপুরের এই দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে এখনই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। শিল্প, সংস্কৃতি ও ভক্তির অনন্য মেলবন্ধনে রঙিন হয়ে উঠেছে রজতজয়ন্তী বর্ষের ক্লাব সম্মিলনী দুর্গোৎসব।