‘যাব কি যাব না’ খুব গোপনে শুনতাম, গানটির মধ্যে যেন একটা নিষিদ্ধ ব্যাপার ছিল: দেবজ্যোতি মিশ্র
আনন্দবাজার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এখন ‘পুজোর গান’ বলে বাঙালির আর কিছু নেই, সেই অধীর অপেক্ষাও নেই। তবে এখন বাতাসে পুজোর গন্ধ শুরু হলেই এই সময়টায় বাঙালির কানে কিছু গান প্রতি বছর বাজে। সেই তালিকার মধ্যে অন্যতম রাহুল দেববর্মণের সুরে এবং আশা ভোঁসলের গাওয়া ‘যাব কি যাব না, ভেবে ভেবে হায় রে যাওয়া তো হলো না।’ সেই গানটিই এই বারের পুজোয় নতুন মোড়কে তুলে ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
যে গানের পরিচিতি মানুষের কানে বসে যায়, তাকে কি নতুন ভাবে তুলে ধরা যায়? বাঙালির নস্টালজিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই গান। কেন এই গানটিকেই বেছে নিলেন? দেবজ্যোতি বলেন, “১৯৬৮ সালের গান এটি। বেশ সংবেদনশীল বয়সে গানটা শুনেছিলাম। গানটার মধ্যে একটা নিষিদ্ধ ব্যাপার রয়েছে। এটা খুব অল্প বয়সেই অনুভব করতে পেরে গিয়েছিলাম। গানটা তো সকলে শুনেছেন। আমিও শুনেছিলাম। কিন্তু ভিতর থেকে যেন খুব গোপনে শুনছিলাম গানটি।”
গানটি নতুন করে আয়োজন করার সময় সেই স্মৃতিই উস্কে ওঠে সঙ্গীত পরিচালকের। এই গানটি সম্পর্কে তিনি বলেন, “চোখ থেকে অনেক কিছু সরিয়ে ফেলা যায়। কিন্তু কান থেকে কি কোনও গান সরিয়ে ফেলা যায়?”
দেবজ্যোতির পরিচালনায় এই গানটি গেয়েছেন ব্রিটেনবাসী মধুছন্দা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় এসে তিনি কাজটি করেন। মধুছন্দা বলেন, “গানটা খুব ছোটবেলায় পুজো প্যান্ডেলেই শোনা। শুনেই ভাল লেগে যায়। আরও পরবর্তী সময়ে গানটা আরও ভাল বুঝতে পারি। গানের প্রাণশক্তি, ছন্দ, সুন্দর সুর সব মিলিয়ে একটা ভাল লাগার স্মৃতি রয়েছে। কলেজের অনুষ্ঠানে আরডি-আশা জুটির গান গাইতাম। দেবুদা গানটা নতুন মোড়কে যখন আমাকে শোনান,আমার খুবই ভাল লাগে। অসাধারণ একটা ট্র্যাক উপহার দিয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। আমি নিজের মতো করে গেয়েছি।”
১৯৬৮ সালে প্রকাশিত রাহুল দেববর্মণ ও আশা ভোঁসলে জুটির প্রথম বাংলা গান ‘যাব কি যাব না’। গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।