• ভারতের এই গ্রাম এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম, কিন্তু তার পরিচিতি 'সেনা গ্রাম' নামে! কেন? জানুন আসল রহস্য...
    আজকাল | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েক দশক ধরে দ্রুত নগরায়ন এবং শিল্পায়ন সত্ত্বেও ভারত মূলত একটি কৃষি অর্থনীতির দেশ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ভারতে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রামও রয়েছে, যা আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্যও বহন করে - এটি 'সৈনিকদের গ্রাম' নামে পরিচিত। কারণ এই গ্রামের প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্য ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেন।

    ভারতের 'সৈনিকদের গ্রাম' কোথায়?উত্তর প্রদেশের গাজীপুর জেলার গহমার গ্রামটি ভারতের পাশাপাশি সমগ্র এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

    জেলা সদর দপ্তর গাজীপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে পাটনা এবং পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন (পূর্বে মুঘলসরাই)-এর মধ্যবর্তী রেলপথে গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত, গহমার গ্রামটি প্রায় আট বর্গমাইল (প্রায় ২০-২২ বর্গকিলোমিটার) জুড়ে বিস্তৃত, যা গহমার গ্রামটিকে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম কে তুলেছে।

    বিশাল জনসংখ্যা এবং সমৃদ্ধ সামরিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত গহমার গ্রামটি ২২টি তালুকে বিভক্ত, যার প্রতিটির নামকরণ করা হয়েছে একজন বিখ্যাত ব্যক্তি বা সেনা সৈনিকের নামে।

    এশিয়ার বৃহত্তম গ্রামের জনসংখ্যা কত?গহমার গ্রামের জনসংখ্যা ১.২০ লক্ষ থেকে ১.৫০ লক্ষের মধ্যে বলে অনুমান করা হয়। স্থানীয়রা দাবি করেন যে, এই সংখ্যাটি প্রায় দু'লক্ষ।  গহমার গ্রামের এই জনসংখ্যাবেশ বেশি, কারণ গ্রামীণ অঞ্চলগুলি সাধারণত শহরাঞ্চলের তুলনায় কম ঘনবসতিপূর্ণ।

    এই গ্রামে প্রায় ২৫,০০০ নথিভুক্তত ভোটার রয়েছে এবং এখানে মূলত রাজপুত সম্প্রদায়ের আধিপত্য রয়েছে। গ্রামের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশই রাজপুত সম্প্রদায়ের। রয়েছে যাদব, বর্মা, ব্রাহ্মণ এবং অন্যান্য বর্ণের মানুষও।

    কেন গাহমারকে 'সৈনিকদের গ্রাম' বলা হয়?এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম হওয়া ছাড়াও, গাহমার তার দীর্ঘ সামরিক ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশাল জনপদের প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে একজন সদস্য আছেন যিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত আছেন বা সেবা করেছেন। গাহমার গ্রামে প্রায় ১৫,০০০ প্রাক্তন সৈনিকের বসবাস। বর্তমানে প্রায় ১২,০০০ আদিবাসী ভারতীয় সেনাবাহিনী বা আধাসামরিক বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন।

    মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের তিন প্রজন্ম ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। এই গ্রামের যুবকদের প্রায়শই প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত মাঠিয়া মাঠে ১৬০০ মিটার ট্র্যাকে সামরিক নিয়োগের জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।
  • Link to this news (আজকাল)