জমা জলে ‘মৃত্যুফাঁদ’, যোগীরাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দুই বোনের
প্রতিদিন | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তায় জমে থাকা জলে পড়েছিল বিদ্যুৎবাহী খোলা তার। তার সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল দুই বোন। ঘটনা যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। প্রাথমিকভাবে দুই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের। তার পরই এক মহকুমা শাসক এবং এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দু’জনকেই সাসপেন্ড করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, ওখানে তো মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়নি। তাহলে জল জমে থাকা এবং তাতে দুই বোনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না।
নবম শ্রেণির ছাত্রী আঁচল যাদব (১৫) এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন অলকা যাদব (১২) স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় জলমগ্ন এলাকায় একটি খোলা তারের সংস্পর্শে আসে তারা।আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মা সুনীতা যাদব সুখাপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার জেরে সাব ডিভিশনাল অফিসার অনিল রাম এবং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্তব্যে চরম অবহেলার ফলে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। জেলাশাসক মঙ্গলাপ্রসাদ সিং দুই মৃত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “কলকাতায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হল। জল জমে মানুষের সমস্যা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় পুরসভা, পুলিশ, জরুরি পরিষেবা কর্মীদের চেষ্টায় জল নেমে গেল। তার মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কয়েকজন মারা গেলেন। আমরা জানি, সিপিএমের জমানা থেকে কলকাতা এবং বৃহত্তর শহরতলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে একমাত্র একটি বেসরকারি সংস্থা। এটা রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের এক্তিয়ারে পড়ছে না। ফলে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলার মানে হয় না। যারা দায়ী, তাদের সঙ্গে যা যা কথা বলার দরকার, করা হয়েছে। বরং বিজেপির যাঁরা লাফালাফি করছেন, তাঁরা জেনে রাখুন, বালিয়ায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও জল জমে ছিল। তাতে কোনওভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে দুই বালিকার মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, ডবল ইঞ্জিন সরকার, বিজেপি নেতারা এখন কী বলবেন? সব মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু এখানে দায়িত্বে বেসরকারি সংস্থা। ওখানে সরকারের দায়িত্বে থাকা পরিকাঠামোয় দুই কিশোরীর এই পরিণতি নিয়ে বিজেপি নেতারা কেন মুখ খুলবেন না।”