ছয় দশক দেশসেবা, অবসরের পর এবার জাদুঘরে ঠাঁই হবে মিগের?
প্রতিদিন | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছয় দশকের ইতিহাস। একের পর এক যুদ্ধে দেশসেবার অনন্য নজির। সব পিছনে ফেলে শুক্রবার অবসর নিল মিগ ২১। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে এই রুশ যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হয় বিমানবাহিনীতে। মিগের হাত ধরেই ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষায় শুরু হয় ‘জেট যুগ’। যুদ্ধ-জীবন শেষে এবার কী হবে অবসরপ্রাপ্ত বিমানগুলির? কোথায় রাখা হবে মিগ ২১-কে?
যদিও, এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দিল্লিতে বায়ুসেনার জাদুঘরে রাখা হতে পারে এই বিমান। পাশপাশি, অবসরপ্রাপ্ত বিমানগুলির মধ্যে অনেকগুলি বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘরে পাঠানো হতে পারে। অন্য একটই সূত্রের দাবি, অবসর নেওয়া বিমানগুলির মধ্যে কয়েকটি মিগ-২১ বিমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিনটেজ স্কোয়াড্রন হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। ফলে কয়েকটি বিমানকে ওড়ার উপযোগী অবস্থায় রাখা হতে পারে। ভিন্টেজ স্কোয়াড্রনের জন্য মিগ ২১ বাইসন ব্যবহার করা হবে নাকি পুরনো সংস্করণ, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই মিগ-২১-কে বিমানবাহিনী তাদের প্রধান যুদ্ধবিমান হিসেবে ব্যবহার করেছে। ১৯৬০ সালে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পরে, বিমানবাহিনী তাদের সামগ্রিক যুদ্ধ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৮৭০টিরও বেশি মিগ-২১ বিমান কেনে। ছয় দশক পরে, শুক্রবার চণ্ডীগড় এয়ারবেসে মিগ ২১-এর জন্য বিদায় অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। জানা গিয়েছে বায়ুসেনায় মিগের যায়গা নেবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস। বৃহস্পতিবার হ্যালের সঙ্গে ৬২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই টাকায় বিমান বাহিনীর জন্য কেনা হবে ৯৭টি তেজস যুদ্ধবিমান।
মিগকে বিদায় জানানোর দিনে পুরনো স্মৃতি ফিরে দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যখনই আমরা কোনও ঐতিহাসিক মিশনে গিয়েছি, তখনই তেরঙ্গার গৌরব আরও বাড়িয়ে তুলেছে মিগ। দীর্ঘ ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিগের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সাহস, ত্যাগ এবং দেশের গর্ব। একটা যুদ্ধ বা একটা অপারেশন নয়, দীর্ঘদিন ধরে মিগ ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে।” ‘বৃদ্ধ’ মিগের বিদায়বেলায় আবেগে ভাসেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লাও। শুভাংশু বলেন, “আমার জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে মিগ-২১। মিগ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।”