অর্ণব আইচ: পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই উৎসবের দিনগুলিতে যাতে জল যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয় তা নিশ্চিত করতে মরিয়া লালবাজার। পুজোর সময় মণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তা জলমগ্ন হলে তা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কলকাতার প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ড ও থানার ওসিকে এপ্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে লালবাজারের। এবিষয়ে প্রত্যেক পুজো উদ্যোক্তা ও কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করবেন আধিকারিকদের।
জানা গিয়েছে, কোন কোন রাস্তায় জল জমতে পারে, তার তালিকা করে বিকল্প রুটে যানবাহন চালিয়ে পুজোর সময় শহরের রাস্তা মসৃণ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। যদি পুজো মণ্ডপের সামনে জল জমে, তবে ভিড়ের মধ্যে যাতে দর্শনার্থীদের বেরিয়ে যেতে অসুবিধা না হয়, তা দেখতে হবে। জল তাড়াতাড়ি সরানোর জন্য মণ্ডপের আশপাশের নালাগুলি পুরসভার সাহায্যে পরিষ্কার করার ব্যবস্থাও করছে পুলিশ।
এর পাশাপাশি পুজোয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার থেকেই শহরে নামছে ১০ হাজার পুলিশ। রাস্তায় থাকবেন ৩৬ জন ডিসি। তাঁদের অধীনে শহরের মণ্ডপ ও রাস্তায় মোতায়েন থাকছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ইন্সপেক্টর, অন্য পদমর্যাদার আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা। থাকছেন হোমগার্ড ও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবকরাও। পুলিশকে সাহায্য করবেন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এনসিসি-র ক্যাডেটরা। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় থাকছে ৪৫০০ ট্রাফিক পুলিশ।
পুজোয় নজরদারিতে শহরে থাকবে
পুলিশ পিকেট-১২৫টি
ওয়াচ টাওয়ার-৫২টি
টহলদারি পিসিআর গাড়ি-৬২টি
হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড-১৬টি
বিশেষ হেভি রেডিওফ্লাইং স্কোয়াড-১৩টি
পিসিআরএম গাড়ি-৩০টি
পর্যাপ্ত সংখ্যক মোবাইল পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স ভ্যান ও ট্রাফিক পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স
কুইক রেসপন্স টিম-১২টি
দমকল কেন্দ্রে ওয়ারলেস ভ্যান-১১টি
ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স-১৪টি
মোবাইল মিসিং পার্সন স্কোয়াড-১০টি
কলকাতার মোট ৩২টি মেট্রো স্টেশনে গড়ে ১১ জন করে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী
২০টি স্কুটিতে ৪০ জন উইনার্স
পর্যাপ্ত সংখ্যক ড্রোনে নজরদারি
অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম
কালীঘাট মন্দির-সহ আটটি মন্দির, চিড়িয়াখানা, পার্ক, সায়েন্স সিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ