সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থীতে জোড়া পুজো উদ্বোধনের কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনাচক্রে আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী। পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই অমিত শাহ বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করলেন। বলা ভালো, ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইশ্বরচন্দ্রের। যদিও সবটাই ৬ বছর আগের ‘পাপক্ষয়ে’র চেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলার শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শাহের কথায়, “শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে শিক্ষার প্রগতি আর নারীশিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর যে অবদান রেখেছেন, তা ভোলার নয়। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ব্যকরণ আর নারী শিক্ষার প্রসারে পুরো জীবন সমর্পণ করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আজ আমি আমার তরফে আর বিজেপির কোটি কোটি কর্মীর তরফে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছি।”
যদিও শাহের এই বিদ্যাসাগর স্মরণের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ৬ বছর আগের এক বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হিসাবে দেখছেন অনেকে। ২০১৯ সালে ভোটের প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। অভিযোগ, বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে দিয়ে তাঁর রোড-শো যাওয়ার সময় সেই মিছিল থেকে প্ররোচনা দিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উত্তেজিত করে হামলা চালানো হয়েছিল বিদ্যাসাগর কলেজে। ভেঙে ফেলা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। ২০০ বছরের জন্মবার্ষিকী ছিল সে বছর। রাজনীতির আবহে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখেও পড়তে হয় বিজেপিকে। এ বছরও সেই মূর্তি ভাঙার স্মৃতি উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। শুক্রবার বিদ্যাসাগর কলেজেই বিদ্যাসাগর মূর্তিতে মাল্যদান করার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
৬ বছর বাদে শাহের বিদ্যাসাগর স্মরণকে তাই অনেকে সেই ঘটনার ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসাবে দেখছেন। তাছাড়া শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হয়ে আসার পর এমনিও ‘বাঙালি’র দল হওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর সেটা হলে বাংলার মনীষীদের সম্মান তো দেখাতেই হবে।