নব্যেন্দু হাজরা: চতুর্থীর দুপুরে ফের আত্মহত্যার চেষ্টা কলকাতা মেট্রোয়। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ যতীন দাস মেট্রো স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার জেরে ব্যাহত মেট্রো চলাচল। বর্তমানে মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে ক্ষুদিরাম এবং ময়দান থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চলছে। চূড়ান্ত ভোগান্তিতে যাত্রীরা। বিশেষ করে চতুর্থীর দুপুরে অনেকেই প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে মেট্রোই ভরসা। কিন্তু ঘটনায় চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হচ্ছে মানুষকে।
গত কয়েকদিনে লাগাতার মেট্রোয় একের পর এক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে যাত্রীদের। এদিন সকাল থেকে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল! কিন্তু দুপুরে যতীন দাস স্টেশনের ডাউন লাইনে অর্থাৎ শহিদ ক্ষুদিরামগামী যখন ট্রেন ঢুকছিল, সেই সময় এক যাত্রী হঠাৎ করেই লাইনে ঝাঁপ দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্টেশনে কর্তব্যরত কর্মীরা ছুটে যান। যায় আরপিএফও। ঘটনার জেরে স্টেশনেই দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রোটি। যদিও মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে ক্ষুদিরাম এবং ময়দান থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চলছে।
মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তা ঠেকাতে মেট্রোর তরফে একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রচার চালানো হচ্ছে। নতুন লাইনগুলিতে স্টেশনে বসানো হয়েছে গেটও। কিন্তু এরপরেও আত্মহত্যার ঘটনা যে ঠেকানো সম্ভব হয়নি, এই ঘটনাই প্রমাণ। বলে রাখা প্রয়োজন, গত পাঁচ বছরে কলকাতা মেট্রোয় কতজন আত্মহত্যা করেছেন? তা মার্চ মাসে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়।
পরিসংখ্যানে রেল মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০২০ সালে কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যা করেছিলেন এক জন। ২০২১ সালে কোনও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। ২০২২ সালে পাঁচ জন আত্মহত্যা করেছিলেন মেট্রোয়। ২০২৩ সালে চার জন। ২০২৪ সালে এই আত্মহত্যার সংখ্যাটা সর্বাধিক হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৪ সালে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। ২০২৫ সালের দুমাসেই (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ২ জন আত্মহত্যা করেছেন।