সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো হয় না। একাধিকবার বাংলায় এসে এই ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে মোদি-শাহ এন্ড কোং-কে। সেই বাংলায় দাঁড়িয়েই চতুর্থীতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এদিনই সেই পুজো-প্রসঙ্গ তুলে শাহকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”আজকে যাঁরা বাংলায় এসে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করছেন, তাঁরাই পাঁচ বছর আগে বলত, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না।” শাহের বক্তব্য পরস্পর-বিরোধী বলেও তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে একাধিক নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় দাঁড়িয়ে কখনও মোদি, আবার কখনও শাহকে বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। এমনকী তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে পুজোয় রাজ্য সরকার বাধা দিচ্ছে বলেও বহুবার অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। যদিও এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে বুমেরাং হয় বিজেপির কাছে। নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পুড়ে বিজেপি। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাহকে দিয়ে এবার পুজো উদ্বোধনে একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বাংলার বিজেপি নেতারা। শুধু তাই নয়, ভোটমুখী বাংলায় নতুন করে ইজেডসিসি’তে পুজোও শুরু করেছে তাঁরা।
আর এই ইস্যুকে সামনে রেখেই বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়ে বাংলার মহান সমাজ সংস্কারককে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেখান থেকেই বাংলার দুর্গাপুজো নিয়ে শাহকে অভিষেকের জবাব, ”আজ সেই দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাও এই সরকারের আমলে। বিজেপি-শাসিত কোনও রাজ্যের উৎসব বা উদযাপন এধরনের স্বীকৃতি পায়নি। আমাদের কন্যাশ্রীও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।” বাংলার থেকে এদের শেখা উচিৎ বলেও মন্তব্য ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের।
এছাড়াও এদিন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাতেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নেন এদিন তিনি। অভিষেক বলেন, “৬ বছর আগে অমিত শাহর নেতৃত্বেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। বহিরাগতরা মূর্তি ভেঙেছিল। কলকাতা শহরকে সেদিন জল্লাদদের উল্লাসমঞ্চে পরিণত করা হয়েছিল।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “বাইরে থেকে যারা এসেছিল, উত্তর ভারতের সংস্কৃতি চাপাতে চেয়েছিল। মূর্তি ভাঙার ফল বাংলার মানুষ তাদের দিয়েছে।”