সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বাংলা বিরোধী, মায়েদের বিরোধী, নারী বিরোধী। শুধুমাত্র বাংলা বলায় অন্তঃসত্ত্বা বধূ সোনালি বিবিকে বাংলাদেশে পুশব্যাক। সোনালিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার হাই কোর্টের রায়ের পর বিজেপিকে এইভাবেই তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের। শাসকদলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “অমিত শাহ কলকাতায় আছেন। এক মাকে অপবাদ দিয়ে, শুধুমাত্র বাংলা বলার জন্য বিদেশি বলে পাঠিয়ে দিচ্ছে আপনার সরকার, এজেন্সি। প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চান অমিত শাহ। বিজেপি ক্ষমা চাক।
তৃণমূলের আরও দাবি, বাংলা কথা বলায় মূলত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ‘হ্যারাস’ হচ্ছেন বাংলার বাসিন্দারা। শাসকদলের আরও অভিযোগ, হাই কোর্টের এই রায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপি বাংলা বিরোধী। কুণাল বলেন, “আদালতের এই রায় চোখে আঙুল নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ওরা অমানবিক কাজ করছিল। ওরা (বিজেপি) বাংলা বিরোধী, মায়েদের বিরোধী, নারী বিরোধী। মানুষের কাছে ক্ষমা চান।” তিনি আরও বলেন, “বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বারংবার বলছিলেন তিনি বাংলাদেশি নন। তারপরও ওকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। মহিলার মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির দায় কে নেবে?”
পাশাপাশি অনুপ্রবেশ নিয়ে কুণাল বলেন, “অনুপ্রবেশ আটকাক না কে বারণ করেছে। সীমান্ত পাহাড়া দেয় বিএসএফ। ওটা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে। আইন বদল করে বিএসএফের এলাকা ১৫ কিলোমিটারের বদলে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আর অনুপ্রবেশ নিয়ে বড় বড় কথা বলা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ১৮ জুন বীরভূমের মুরারইয়ের পাইকর গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারকে দিল্লির রোহিনী জেলা পুলিশের কেএন কাটজু থানা থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, সেদিনই তাঁরা বাড়িতে ফোন করে খবর দেন যে পুলিশ তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে। সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের লোকজন দিল্লি রওনা হন। কিন্তু থানায় পৌঁছেও তাঁদের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বিএসএফের হাতে তুলে দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে দেওয়া হয়েছে। কোন এলাকা দিয়ে তাঁদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও জানানো হয়নি। এরপরই মামলা হয় আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে সোনালী বিবিকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে।