• মদ্যপ র‍্যাপিডো চালক! পেছনে বসিয়ে নিজে চালিয়েই কোনওরকমে বাড়ি পৌঁছন যুবক, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানান সামাজিক মাধ্যমে ...
    আজকাল | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাত দেড়টা তখন। সারাদিন কাজকর্ম শেষে র‍্যাপিডো তে বাইক বুক করেছিলেন মুম্বইয়ের এক যুবক৷ কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনো তো দূরের কথা, বরং এক চরম বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে৷ খবর অনুযায়ী র‍্যাপিডো চালক অত্যন্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আর এই ঘটনা ঘিরেই নেটপাড়া আরও একবার উত্তাল৷ 

    সাধারণত এই পরিস্থিতিতে যেকোনও মানুষই রাইড বাতিল করার কথা ভাবে। কিন্তু যুবক তা না করে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পথ বাছেন। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি পুরো ঘটনার বিবৃতি দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাইক চালাচ্ছেন খোদ ওই যুবক, এবং তাঁর পেছনে মদ্যপ অবস্থায় বসে আছেন র‍্যাপিডো চালক। 

    ভিডিওতে যুবক এবং র‍্যাপিডো চালকের মধ্যে কিছু কথোপকথন শোনা যায়। তবে তাঁদের মধ্যে কী কথা হচ্ছিল তা স্পষ্ট শোনা যায়নি। পোস্টের ক্যাপশনে যুবক লেখেন, "র‍্যাপিডো, তোমাদের কোম্পানির সব কর্মী'ই বোধহয় নেশাগ্রস্ত। কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন একটি প্রতিষ্ঠান! এসওএস নম্বরে কল করার পরও কোনও সাহায্য মেলেনি। " ঘটনাটি ঘটে, ৪ ঠা অগাস্ট, ২০২৫ এ। রাত প্রায় একটা নাগাদ। 

    যুবক আরও লেখেন, " এই ঘটনার ছ'দিন পরও কোম্পানির উদ্দপদস্থ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও যোগাযোগ আসেনি। কী চমৎকার! এভাবে মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন আপনারা।" 

    এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আসা মাত্র রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন পোস্টটি। কমেন্ট সেকশনে অনেকেই নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা বিতর্কিত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। 

    একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, " আমার র‍্যাপিডো চালক এতটাও ক্লান্ত ছিল যে আমাকেই নিজেকে চালিয়ে অফিস পৌঁছতে হয় একদিন। চালক আমার পেছনে বসে ছিলেন। লোকটির সঙ্গে কথা হয় মাঝে মাঝে৷ তিনি এমনি খারাপ নন। কিন্তু সর্বপরি র‍্যাপিডোর অব্যবস্থাপনাই দায়ী। "

    আরও একজন মন্তব্য করে বলেন, " র‍্যাপিডোর কাস্টমার কেয়ার কোনও দিনও সাড়া দেয়না। আমার এক বন্ধুর সঙ্গে চরম অপমানজনক আচরণ করা হয়েছিল, হেনস্থা করা হয়েছিল। অ্যাপে রিপোর্ট করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। 

    মন্তব্যে আরও একজনের মন্তব্য ভেসে ওঠে, যিনি লেখেন, "আমার চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল, আমি মাঝপথেই নেমে পড়ি। নিজের জীবন নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারিনি। " 

    এত সব সমালোচনার ঝড়ে পড়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসে র‍্যাপিডো। ঘটনায় সংস্থার তরফ থেকে জানান হয়, " আপনার অভিযোগ যে যথাযথ ভাবে সমাধান হয়নি তাতে আমরা দুঃখিত৷ এটি কোনওভাবেই আমাদের আদর্শ নয়। আপনার অভিযোগ এবং রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বর অনুগ্রহ করে ডিরেক্ট মেসেজে পাঠান। আমরা আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।" 

    পরবর্তী এক বিবৃতিতে সংস্থা জানায়, অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবং ব্যবহারকারীদের জন্য পরিষেবার এক্সেস যোগ্যতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। 

    ঘটনার জেরে প্রশ্ন থেকেই যায় যে রাতবিরেতে রাস্তায় যাত্রীদের নিরাপত্তা কি সত্যিই সুনিশ্চিত করতে পারছে অনলাইন রাইড হেলিং অ্যাপগুলি? 

     
  • Link to this news (আজকাল)