সূত্রের খবর, ভিন রাজ্যে সবজি বিক্রির কাজ করতেন মৃত মহিলার স্বামী। বৃহস্পতিবার তিনি যখন বাড়ি ফেরেন, দেখেন তাঁর তিন কন্যা এবং স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় ঘরের মেঝেয় পড়ে। তৎক্ষণাৎ মৃত মহিলার স্বামী সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোকজনদের খবর দেন এবং তাঁদের বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁদের।
শুক্রবার নাবালিকা কন্যা এবং মৃত মহিলা, চারজনকে পুরুলিয়ার সরকারি দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্ত করার জন্য। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম আনন্দ গড়াই, প্রতিদিন সবজি বিক্রি করে পাঁচজনের এই সংসার চালাতেন।
বাড়িতে থাকতেন তিন কন্যা এবং আনন্দ গড়াইয়ের স্ত্রী। আনন্দ গড়াই প্রতিদিনের মতন বৃহস্পতিবারও সবজি বিক্রি করে রাতে যখন বাড়ি ফেরেন এবং বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর স্ত্রী প্রিয়া গড়াই এবং তিন মেয়ে বৈশাখী গড়াই (১২), পল্লবী গড়াই (১০) ও সৌরভী গড়াই (৬), অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বান্দোয়ানের বান্দোয়ানের লতাপাড়া পাড়া গ্রামে এই পুজোর মরশুমে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়াতে এলাকাবাসী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
দিন কয়েক আগেই, অসমে এই ধরনের এক ঘটনা সামনে আসে। বাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় এক পরিবারের সকল সদস্যের মৃতদেহ। ওই পরিবারের তিনজন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পাশাপাশি দম্পতির ১৩ বছরের সন্তানের দেহটি টুকরো টুকরো অবস্থায় পাওয়া যায় বাড়ির মধ্যে থেকেই। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে অসমের দারাং জেলায়। সিপাঝাড় থানার অন্তর্গত নরকালী মন্দিরের অদূরেই এই বাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৫৫ বছরের দীপক নাথের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির পাঁচিলের পাশ থেকে। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
দীপকের স্ত্রী প্রতিমা নাথের রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায় ঘরের মধ্যে। তিনি গলা কাটা অবস্থায় ছিলেন। পাশাপাশি দম্পতির ১৩ বছরের ছেলে ধৃতী রাজ নাথের দেহের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার করা হয়েছে ঘরের মধ্যে থেকে। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায়, বহুবার ডাকাডাকির পরেও পরিবারের সদস্যদের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকী ফোন করার পরেও মেলেনি কোনও সাড়া। অবশেষে বাড়ির মধ্যে ঢুকে খোঁজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। তখনই দেহগুলি তাঁদের চোখে পড়ে। তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃতদেহ। এক দম্পতি ও তাদের তিন খুদে সন্তানের নিথর দেহকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। দিল্লির সেই বুরারিকাণ্ডের ছায়া পড়ে খাস নরেন্দ্র মোদির রাজ্যেও। গুজরাটে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে তদন্ত।