মিলল না হাতে 'হাত', গতবার পুজো শুরু হলেও এবছর বন্ধ হয়ে গেল রাজ্য কংগ্রেসের দুর্গাপুজো, পিছনে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?...
আজকাল | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুরু হয়েও থমকে গেল রাজ্য কংগ্রেসের দুর্গাপুজো। প্যান্ডেল, প্রতিমা থেকে শুরু করে মায় পুরোহিত ঠিক করা, সমস্ত কিছু হয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত জায়গার অভাবে এবছর পুজো আর শেষপর্যন্ত করে ওঠা গেল না। খুলে ফেলতে হয়েছে প্যান্ডেল। জানিয়ে দিতে হয়েছে পুরোহিত এবং আমন্ত্রিত সকলকে। পুজোর আয়োজক রাজ্য যুব কংগ্রেসের বিধাননগর ইউনিট।
গতবার যখন বিধাননগরের যুব কংগ্রেসের সদস্যরা এই পুজোর আয়োজন করেন তখন তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য হল পুজোর মাধ্যমে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
পুজো শুরু করার পিছনে বিধাননগর যুব কংগ্রেসের যুক্তি ছিল, কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সরাসরি দলের তরফে কোনও পুজোর আয়োজন করা হয়নি। সেজন্যই দলের ব্যানারে তাঁরা এই পুজোর আয়োজন করেছেন। পুজোয় দলের অতীতের নেতৃবৃন্দ যেমন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, উমেশ চন্দ্র ব্যানার্জী-সহ জহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী এবং বর্তমান নেতা রাহুল গান্ধীর ছবি যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্যান্ডেলে রাখা হয়েছিল। পুজো কমিটির পক্ষে বিধাননগর যুব কংগ্রেসের সভাপতি মৃগাঙ্ক মল্লিক জানিয়েছিলেন, 'পুজোতে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেওয়ার পিছনে আমাদের একটাই লক্ষ্য হল সকল বিভেদ ঘুচিয়ে একসঙ্গে পথ চলা।'
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন যুব কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তখন তিনি নিজে একটি দুর্গাপুজো করতেন। এবছর যখন তাঁর মেয়ে অনিতা বসু পাফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি খুশি হয়ে এই পুজো কমিটিকে একটি ভিডিও বার্তাও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত পুজো না হওয়ার জন্য সেগুলো আর কাজে লাগানো গেল না।
বিষয়টির পিছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃগাঙ্ক। চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বলেন, 'মূল বিষয়টি হল আমাদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য এই পুজোটা আমরা এবছর করতে পারলাম না। একেবারে শেষমুহূর্তে জায়গার সমস্যা হওয়ায় আমরা আর নতুন করে কোনো জায়গার ব্যবস্থা করতে পারলাম না। বাধ্য হয়েই পুজো না করার সিদ্ধান্ত নিতে হল।' এবিষয়ে রাজ্য কংগ্রেসের বক্তব্য জানতে চাওয়ার চেষ্টা করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।