• রামপুরহাট কাণ্ড : গলা ফুটো করে ছাত্রীর দেহ রক্তশূন্য করেছিলেন অভিযুক্ত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রামপুরহাটে আদিবাসী ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত শিক্ষক পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, ওই ছাত্রীকে বাড়ির বাথরুমে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। তারপর গলায় ফুটো করে শরীরের সব রক্ত বের করে দেন। এরপর হাঁসুয়া দিয়ে দেহটি টুকরো টুকরো করে কাটেন অভিযুক্ত। খুনের ৯ দিনের মাথায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ।

    ২৮ আগস্ট টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি ওই ছাত্রী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রামপুরহাট থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পর সপ্তম শ্রেণির ওই আদিবাসী ছাত্রীর পচাগলা দেহাংশ উদ্ধার করা হয়।

    ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২৮ আগস্ট ওই ছাত্রীকে নিজের ঘরে রেখে মদ্যপান করেন অভিযুক্ত। তারপর ছাত্রীর উপর শুরু হয় নির্যাতন। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। জ্ঞান ফিরতেই পালানোর চেষ্টা করে নির্যাতিতা। সেই সময় বাথরুমে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তারপর তার গলা ফুটো করে শরীরের সব রক্ত বের করে দেন। এরপর হাঁসুয়া দিয়ে ছাত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে তিনটি বস্তায় ভরে খালে ফেলে দেন। ঘরে রক্তের দাগ মুছতে স্পিরিট ব্যবহার করা হয়। ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের জন্য নৃশংসভাবে ছাত্রীর যৌনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করারও অভিযোগ ওঠে। তদন্তকারীদের দাবি, থ্রিলার সিনেমা দেখে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে এর প্রভাব রয়েছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। তবে রসায়ন ও মেডিক্যালের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে অভিযুক্তের। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য কোন রাসায়নিক ব্যবহার করলে তা পরীক্ষাগারে ধরা পড়বে না, তা তাঁর জানা ছিল। সেই রাসায়নিক দিয়েই বাথরুম পরিষ্কার করেন অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে অত্যন্ত নির্লিপ্ত দেখিয়েছে অভিযুক্তকে। তিনি সারাদিন ধ্যানে মগ্ন থাকেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)