শুল্কবাণ ঠেকাতে পুতিনকে ফোন? ন্যাটো প্রধানের দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলল ভারত
প্রতিদিন | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন শুল্কবাণ ঠেকাতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট। তবে তাঁর সেই দাবি স্পষ্টভাষায় খারিজ করে দিল ভারত। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানালেন, যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ফোনালাপ প্রসঙ্গে ন্যাটো প্রধান রুটের বয়ান শুনেছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই এই বয়ান সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। এই ধরনের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদি শুল্ক ইস্যুতে কোনও আলোচনা করেননি পুতিনের সঙ্গে। ফলে যে দাবি করা হচ্ছে তার কোনও অর্থ নেই।” ন্যাটো প্রধানের দাবিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য বলে উল্লেখ করেছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “ন্যাটোর মতো এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের কাছ থেকে আমরা আশা করব তাঁরা যেন এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করবেন। ন্যাটোর মতো প্রতিষ্ঠান যে দায়িত্ববান হবে, সেটাই আমরা আশা করি। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের টিপ্পনী কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নজির।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের ফাঁকেই এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে রুট বলেন, “ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা, কারণ ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনে। তাই মার্কিন সিদ্ধান্তের বড়সড় প্রভাব পড়ছে রাশিয়ার উপর।” ন্যাটো কর্তার মতে, “এখন পুতিনকে ফোন করেছেন মোদি। রাশিয়ার পাশে রয়েছেন বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সঙ্গে এটাও জানতে চেয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে কী কৌশল রয়েছে রাশিয়ার।”
সাম্প্রতিক অতীতে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যেভাবে চড়াই- উতরাই পেরিয়েছে। প্রথমে ২৫ শতাংশ ও পরে রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে ভারতের উপর। সবমিলিয়ে মোট মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। আমেরিকা দাবি করেছে রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেল কেনার জেরে ভারতের উপর এই শুল্ক চাপিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পরোক্ষভাবে মদত মিলছে ভারতের তেল কেনার মাধ্যমে। এর মাঝে ন্যাটো প্রধানের বয়ানের পালটা বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমরা আগেও স্পষ্ট করে দিয়েছি যে ভারতের জ্বালানি আমদানির উদ্দেশ্য হল ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য স্থিতিশীল এবং সাশ্রয়ী মূল্যের দাম নিশ্চিত করা। ভারত তার জাতীয় স্বার্থ এবং আর্থিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”