অর্ণব দাস ও শেখর চন্দ্র: পুজো আবহে বৃষ্টি থামছে না রাজ্যে। তার জেরে রাজ্যের দুই প্রান্তে ভেঙে পড়ল পুজোর জন্য তৈরি হয় গেট। শুক্রবার চতুর্থীতে (তিথি অনুযায়ী দু’দিন চতুর্থী) বারাসত টাকি রোডে ভেঙে পড়ল একটি পুজো কমিটির লাইটের গেট। বাঁশের গেটটি একটি টোটোর উপর ভেঙে পরে। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে তিনচাকার যানটি। তবে কেউ আহত হননি। দুর্ঘটনার জেরে ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল রাস্তায় যান চলাচল। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, আসানসোলের দুর্গাপুরেও লাগাতার বৃষ্টির জেরে লাইটের গেট ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনায় চিন্তায় উদ্যোক্তারা।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ টাকি রোড এলাকায় আলো লাগানোর জন্য তৈরি করা একটি বাঁশের গেটে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনায়। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় পৌঁছয় বারাসত থানার পুলিশ। দ্রুত বাঁশের গেটটি খোলার কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, গেটটি তৈরির সময় খুঁটি পোতার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। ঘটনায় ডেকোরেটার্সের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্ত টোটোর মালিক বলেন, “বৃষ্টি হচ্ছিল। পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। একটা ঝোড়ে হাওয়ায় গেটটি ভেঙে পড়ে। গাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। পুজোর মুখে অনেক টাকার ক্ষতি হল।” স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই ঘটনা। কারও গাফিলতি আছে কি না, তা এখন বলা যাবে না। তবে কেউ আহত হননি। এলাকার বাসিন্দার সকলে হাত লাগিয়ে গেটটি খুলেছেন।”
অন্যদিকে, প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে দুর্গাপুরের শংকরপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির লাইটের গেট। অনুমান, লাগাতার বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে গেটটি ভেঙে পড়েছে। এবছরে তাঁদের পুজোমণ্ডপ তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। পুজোর মুখে এই দুর্ঘটনায় চিন্তায় উদ্যোক্তারা।