• কাজের ফাঁকে বিরিয়ানি পার্টি অফিসে, খাবার খেয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক...
    আজকাল | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরিয়ানি খেয়েছিলেন। তার পরেই অসুস্থ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক। পরিবারের ভয়াবহ অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বিরিয়ানি খাবার পরই আচমকাই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় নাদনঘাট থানার বকপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মশাগরিয়া এলাকার যুবক সুমন্ত মল্লিকের। তিনি পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের বিএলআরও অফিসে মুহুরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে তিনি একা নন, বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অফিসের রেভিনিউ অফিসার কুন্তল মণ্ডলও। তিনি বর্তমানে বর্ধমানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি। 

    জানা গিয়েছে, গতকাল পুজোর আগে শেষ দিনের কাজকর্ম চলছিল অফিসে। সেই উপলক্ষেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। নিয়ে আসা হয় ৪০ প্যাকেট বিরিয়ানি, যা খেয়েই নাকি দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। নাদনঘাট থানায় উপস্থিত হয়ে মৃতের পরিজনদের দাবি গতকালের ঘটনার পর ওই অফিসের কেউই এই ঘটনা জানার পর এলাকায় আসেননি খোঁজ নিতে। এতেই সন্দেহ বাড়ে পরিবারের। নাদনঘাট থানায় এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার লিখিত কমপ্লেন জানানোর জন্য হাজির হয় পরিবার।

     মৃত ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন কালনার এসডিপিও রাখেশ চৌধুরীও। এদিন শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল তদন্তে যায় নাদনঘাট থানার আইসি ফুড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা এবং কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী। ঘটনা পরিকল্পিত খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, নাকি যুবকের মৃত্যু অন্য কোনও কারণে? প্রশ্ন ঘুরছে হাজার।   ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর তা স্পষ্ট হবে। ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে নাদনঘাট থানায়।

    থানায় মৃত যুবকের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, স্বামীর কাজের কারণেই নানা শত্র ছিল। সেই আক্রোশ বসত স্বামীকে মারা হতে পারে, চাঞ্চল্যকর দাবি স্ত্রীর।

    অন্যদিকে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে পুরুলিয়ায়। সূত্রের খবর, ভিন রাজ্যে সবজি বিক্রির কাজ করতেন মৃত মহিলার স্বামী। বৃহস্পতিবার তিনি যখন বাড়ি ফেরেন, দেখেন তাঁর তিন কন্যা এবং স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় ঘরের মেঝেয় পড়ে। তৎক্ষণাৎ মৃত মহিলার স্বামী সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোকজনদের খবর দেন এবং তাঁদের বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁদের।  

     শুক্রবার নাবালিকা কন্যা এবং মৃত মহিলা, চারজনকে পুরুলিয়ার সরকারি দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্ত করার জন্য। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম আনন্দ গড়াই, প্রতিদিন সবজি বিক্রি করে পাঁচজনের এই সংসার চালাতেন। বাড়িতে থাকতেন তিন কন্যা এবং আনন্দ গড়াইয়ের স্ত্রী। আনন্দ গড়াই প্রতিদিনের মতন বৃহস্পতিবারও সবজি বিক্রি করে রাতে যখন বাড়ি ফেরেন এবং বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর স্ত্রী প্রিয়া গড়াই এবং  তিন মেয়ে বৈশাখী গড়াই (১২), পল্লবী গড়াই (১০) ও সৌরভী গড়াই (৬), অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বান্দোয়ানের বান্দোয়ানের লতাপাড়া পাড়া গ্রামে এই পুজোর মরশুমে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়াতে এলাকাবাসী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

     
  • Link to this news (আজকাল)