• মায়ের ভোগ থেকে বিজয়ার মিষ্টিমুখ, ফুলবাড়ির লালমোহনের চাহিদা তুঙ্গে
    বর্তমান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: ফুলবাড়ির লালমোহন ছাড়া মায়ের ভোগ অসম্পূর্ণ। তাই ফুলবাড়ি তো বটেই, আশপাশ এলাকা থেকে বহু মানুষ পুজোর দিনে ছুটে আসে ফুলবাড়িতে বিখ্যাত লালমোহন কিনতে। ফুলবাড়ি মোড়ের কাছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কে ধারে বংশপরম্পরায় প্রায় ৭৫  বছর ধরে দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই বিখ্যাত লালমোহন। 

    শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে ফুলবাড়ি মোড়ের লালমোহনের জনপ্রিয়তা সর্বজন বিদিত।  বহু বিশিষ্টজনেরা বিভিন্ন সময়ে সাধারণ এই দোকানের অসাধারণ মিষ্টির স্বাদ নিতে ছুটে এসেছেন। লতা মঙ্গেশকর, উত্তমকুমার, মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, উষা উত্থুপ, বাপি লাহিড়ী প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ফুলবাড়ির এই সাধারণ মিষ্টির দোকানে বসে লালমোহন খেয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে করে নিয়েও গিয়েছেন। 

    ফুলবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পথে যাত্রী চলাচল শুরু হওয়ার পর এখন বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষও এই পথ দিয়ে দেশে ফেরার সময় লালমোহন নিয়ে ফেরে। সারা বছরের মতো পুজোর দিনে সাধারণ পথচলতি মানুষের গাড়ি থামিয়ে লালমোহন নেওয়ার চাহিদা বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে পুজো কমিটি ও বিভিন্ন মানুষ পুজোর দিনে মিষ্টিমুখের তালিকায় ফুলবাড়ির লালমোহনকে অগ্রাধিকার দেয়। বিজয়া দশমীর থালাতেও ক্ষীর ও ছানা দিয়ে তৈরি এই লালমোহনের কদর রয়েছে। তাই পুজো এলে ফুলবাড়ির এই লালমোহন ব্যবসায়ীর ব্যস্ততা বেড়ে যায়। 

    লালমোহন বিক্রেতা রূপম ঘোষ বলেন, সারাবছর রাস্তা দিয়ে পথচলতি মানুষ গাড়ি থামিয়ে আমাদের লালমোহন খান এবং সঙ্গে নিয়েও যান। কড়াইতে লালমোহন পড়ে থাকে না। পুজোর দিনে সেই চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তাই পুজোর সময় প্রতিদিন কড়াই কড়াই লালমোহন আমাদের তৈরি করতে হয়। এবারও তার অন্যথা হবে না। বিজয়ার দশমী বিষয়টিও পুজোর সঙ্গে থেকে যায়। তাই আমাদের লালমোহনের সঙ্গে মিহিদানা, ছানার পোলাওয়েরও বাড়তি চাহিদা রয়েছে। পুজোর সময় লালমোহন, মিহিদানা, ছানারপোলা তৈরির চাপ আমাদের প্রত্যেক বছরই থাকে। চাহিদা বেড়ে গেলে চিন্তায় থাকতে হয় খাটি ছানা, ক্ষীরের জোগান নিয়ে। খাটি ছানা ও ক্ষীরের জন্য আমাদের লালমোহনের বিশেষত্ব, জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)