• এসআইআর-ভোটার তালিকা মেলানো শেষই হল না রাজ্যে
    আনন্দবাজার | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পেরিয়ে গেল সময়সীমা। অথচ পশ্চিমবঙ্গে শেষই হল না ভোটার তালিকা ‘ম্যাপিং’-এর কাজ।

    ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ অতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ম্যাপিংয়ের আওতায় ২০০২ সালের এসআইআর-তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে এ বছরের ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারদের নাম। উভয় তালিকায় থাকা নামগুলি এমনিতেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকাভুক্ত হবে। এড়ানো যাবে যোগ্য ভোটারদের হয়রানি। সূত্রের দাবি, এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনগুলির ভূমিকা এবং অগ্রগতি আতস কাচের তলায় আনতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    দিল্লিতে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) সঙ্গে কমিশনের ফুল বেঞ্চের গত বৈঠকের পরে সব জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের লিখিত ভাবে কমিশন জানিয়েছিল, ২০০২ সালের এসআইআর-তালিকার সঙ্গে এ বছরের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার কাজ ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সিইও দফতর সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যের সবক’টি জেলা ধরলে এই কাজের অগ্রগতি কমবেশি ২৫%। ফলে বিস্তর কাজ এখনও বাকি। শুক্রবার থেকেই দুর্গোৎসবের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। সরকারি অফিস চালু হবে ৮ অক্টোবর। আবার ১৮-১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া কালীপুজোর ছুটি শেষ হবে ২৮ অক্টোবর। কমিশন সূত্রের অনুমান, ১ নভেম্বর থেকে পুরোদমে রাজ্যে এসআইআরের কাজ শুরু হলে, তার আগে ম্যাপিং সেরে ফেলা জরুরি ছিল। এক কর্তার কথায়, “প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার কাজ শেষ। কমিশন অগ্রগতির হিসেব চাইলে তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরই।”

    সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য, দুই তালিকায় থাকা নামগুলি চূড়ান্ত তালিকায় এমনিতেই ঢুকে পড়বে। আবার ২০০২ সালের তালিকার কিছু অংশ পাওয়া না গেলে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকাও মিলিয়ে দেখার কথা। উভয় তালিকায় থাকা অভিন্ন ভোটারদেরও এসআইআরের নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্টদের নথিপত্রের কোনও প্রয়োজন হবে না। সব মিলিয়ে সাত-সাড়ে সাত কোটি আবেদনপত্র ছাপাতে হবে কমিশনকে। যেখানে সংশ্লিষ্টদের ভোটার-আধার নম্বর, ক্রম নম্বর বা পার্ট নম্বর ছাপানো থাকার কথা। তাই মূল ম্যাপিংয়ের কাজের সঙ্গে আবেদনপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করে ফেলারও সম্পর্ক রয়েছে। আবার এসআইআর আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করার আগে সর্বদলীয় বৈঠক করবে কমিশন। সেখানেও ম্যাপিংয়ের ফলাফল জানতে চাইতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। তাই এই তথ্য কমিশনের হাতে থাকা জরুরি।

    কমিশন-কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা। আবার বিহারের ভোট ঘোষণাও হওয়ার কথা কাছাকাছি সময়ে। তার পরেই কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজ্যে আসতে পারেন ম্যাপিং-সহ সব প্রস্তুতি দেখতে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)