আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও পুরোদমে পুজোর মেজাজ। বেশিরভাগ পুজোই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার থেকে তাঁর সংসদীয় এলাকায় বিভিন্ন দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করছেন। সকাল থেকে বলাগড়, চুঁচুড়ার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে উপস্থিত হন তিনি। ঘুরে ঘুরে মণ্ডপ দেখেন, কথা বলেন কমিটির কর্তাদের সঙ্গে। সন্ধ্যার পর চুঁচুড়ার মার্কন্ড গলিতে পুজো উদ্বোধন করতে আসেন তিনি। তার আগে ব্যান্ডেল চার্চের সামনে ফুচকা খান হুগলির তৃণমূল সাংসদ। রচনা বলেন, ‘আমরা গোটা বছর মুখিয়ে থাকি পাঁচটা দিনের জন্য। আগে পুজো চার দিনের ছিল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মানুষের আবেগ বুঝে মহালয়ার পর থেকেই পুজো শুরু করে দিয়েছেন। কলকাতা শহরে মানুষের ঢল নামছে। এই সাতটা দিন যে কীভাবে কেটে যায় তা বুঝতেই পারি না। কত আনন্দে দিন কাটান মানুষ। এটাই তো আমাদের পাওয়া’।
মানুষ যে সকাল বিকেল সুন্দর করে সেজে নতুন জামাকাপড় পরে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন সে কথাও শোনা যায় হুগলির তৃণমূল সাংসদের মুখে। তবে হুগলির পুজো দেখে খানিকটা চমকে গিয়েছেন রচনা। জানিয়েছেন, ‘আমার সংসদের এলাকায় এত বড় বড়, এত ভাল পুজো হয় সেটা আমি জানতাম না। খুব খুশি হয়েছি’। উল্লেখ্য, ১২ সেপ্টেম্বর শ্রী সেতুর উদ্বোধন করলেন হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। জনশ্রুতি আছে, একসময় খাল পেরিয়ে এলাকার নীলকুঠিতে আসতেন সাহেবরা। ধীরে ধীরে জনবসতি গড়ে ওঠে খালের উপর সংযোগকারী রাস্তা না থাকায়। প্রশাসন ও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে প্রথমে বাঁধ তৈরি হয়।
খামারগাছি ডুমুরদহ থেকে অসম লিঙ্ক রোড ধরে কুন্তীঘাট যেতে প্রায় আধঘন্টা সময় লাগতো। প্রতিদিন চার–পাঁচ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই পথ দিয়ে। সেতু তৈরি হওয়ায় এখন খুব কম সময়েই যাতায়াত সম্ভব হবে। হুগলির বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর খালের উপরে এই সেতু প্রায় ৭০ মিটার দীর্ঘ। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রী সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী সহ পানীয় পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। সাংসদ বলেন, মানুষ খুশি হয়েছে এই সেতু তৈরি হওয়ায়। মানুষ এতদিন যে কষ্ট করেছে তা লাঘব হল। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৩৪ লক্ষ টাকায় এই সেতু এবং ১২৫ মিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।