• চালক ঘুমিয়ে পড়তেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ঠাকুর দেখে ফেরার পথে মৃত এক, আহত আরও চার...
    আজকাল | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ কলকাতা থেকে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তেহট্টের ইসলামপুরে কৃষ্ণনগর–করিমপুর রাজ্য সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত এক। আহত একই পরিবারের আরও ৪। চালক ঘুমিয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান।

    মৃত ব্যক্তির নাম সুজিতকুমার বিশ্বাস (৪৭)। আহতরা হলেন সুতপা ঘোষ বিশ্বাস, জাগৃতি বিশ্বাস, শম্পা সরকার, উত্তমকুমার সরকার। সকলেই নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের গাড়িতে চেপেই ঠাকুর দেখতে বের হয় গোটা পরিবার। সারারাত কলকাতার বিভিন্ন পুজো দেখেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে চার চাকার গাড়িটি।

    ঘটনায় গুরুতর আহত হয় গাড়িতে থাকা পাঁচ জন। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় গ্রামবাসীরা। সেখানে চিকিৎসকরা সুজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গাড়ি চালানোর সময় চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। 

    এদিকে, দুর্গা প্রতিমা আনার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ল গাড়ি। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। গুরুতর আহত আরও তিন জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে হুগলির পোলবা থানার অন্তর্গত অনন্তপুর এলাকায়। মৃত তিন জনের নাম ভাস্কর দেবধারা (২৯)। বাড়ি সুগন্ধার শঙ্করবাটি এলাকায়। প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে (৪০)। এই দু’‌জনের বাড়ি চন্দননগর কাঁটাপুকুর এলাকায়। জানা গেছে, পোলবার শঙ্করবাটি হাইস্কুল লাগোয়া মাঠে দুর্গাপুজো হয়। ঘটনার দিন রাতে চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়েছিল পোলবার শঙ্করবাটি গ্রামের বারোয়ারীর সদস্যরা। জানা গেছে, ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও পিছনে থাকা চার চাকা গাড়িটি পৌঁছতে দেরি হতে থাকে। গাড়িতে ছিলেন চালক সহ পুজো আয়োজকদের ছয় জন। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, অনেক দেরি হতে দেখে তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। চার চাকা গাড়ি কেন ফিরছে না দেখে ওই গাড়িতে থাকা এক জনকে ফোন করা হয়। পুলিশ ফোন ধরে জানায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছন। আহতদের উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে চন্দননগর রেল ওভার ব্রীজ থেকে নামার সময় রাস্তার পাশে থাকা ইটের পাঁজায় সজোরে ধাক্কা মারে চার চাকা গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’‌ জনের। বাকি চার জন টুকুন বাউলদাস, স্বপন মাইতি, সোমনাথ দেব ধারা সহ আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দু’‌জনের চিকিৎসা চলছে চুঁচুড়ায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে চন্দননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপর পোলবা থানার পুলিশ সেখানে যায়।

     
  • Link to this news (আজকাল)