• এসআইআরে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা কমিশনের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক-সহ ভিনরাজ্যে থিতু হওয়া বাসিন্দাদের জন্য নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পরিকল্পনা। ভিনরাজ্যের ভোটার তালিকায় যাতে কারও নাম না থাকে এবং কেউ যাতে দুই জায়গায় ভোট দিতে না পারেন সেদিকে বিশেষ নজর কমিশনের। কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআর-এ ভোটারদের জন্য এনুমারেশন ফর্মে একটি আলাদা অংশ থাকবে। তাঁরা যে শুধুমাত্র বাংলার ভোটার, অন্য রাজ্যের তালিকায় তাঁদের নাম নেই, তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে ফর্মের ওই অংশে। শুধু বাংলা নয়, সারা দেশে এক জনের একটিই ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ।

    পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে এসআইআর-এর আবেদনপত্র ছাপানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।  প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশও দিয়েছিল কমিশন। রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যার দ্বিগুণ ফর্ম ছাপাতে বলা হয়েছে। সিইও দফতর সূত্রে খবর, বাংলায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার রয়েছেন। ফলে ১৫ কোটি ফর্ম ছাপাতে হবে। এক জন ভোটারের জন্য ছাপানো হবে দু’টি করে আবেদনপত্র।

    একটি থাকবে ভোটারের কাছে। অন্যটি বুথ লেভেল আধিকারিকদের কাছে থাকবে। অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। কমিশনের নির্দেশ, গতবারের এসআইআর ধরে প্রতিটি রাজ্যের ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি-সহ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর ইতিমধ্যে সেই কাজ শেষ করে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শেষ বার হয়েছিল ২০০২ সালে।

    কমিশনের একটি সূত্রের খবর, বাড়ি-বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা থাকবে। মূল ফর্মের মধ্যে একটি কিউআর কোডও থাকতে পারে। তার মাধ্যমে ফর্মটি অনলাইনে পূরণ করা যাবে। পরিযায়ী শ্রমিক ও ভিন রাজ্যে বসবাসকারী বাংলার ভোটারদের কাছ থেকে আলাদা কোনও অতিরিক্ত নথি না চাওয়ার পথে হাঁটতে চাইছে কমিশন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা বাবা-মায়ের নাম থাকলে শুধু সেই এপিক নম্বর ও পার্ট নম্বর দিলেই হবে।

    তবে বাবা-মায়ের নাম থাকলেও নিজের নাম না থাকলে ১২টি নির্ধারিত নথির যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। তবে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের বাবা-মায়ের নাম ২০০২-এর ভোটার তালিকায় নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে কী নিয়ম, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে কমিশন আলাদা করে বিবৃতি দিয়ে জানাবে বলে খবর। গোটা প্রক্রিয়ায় যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়, কারও যাতে বুঝতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

    প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২২ লক্ষ বা তার বেশি হতে পারে। অনেকের মতে, সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবে। শুধু কোভিড অতিমারির সময়েই ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে রাজ্যে ফিরিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাঁদের বিষয়ে যথেষ্ট প্রস্তুত হয়েই তাই মাঠে নামতে চাইছে কমিশন।

    শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির একটি প্রতিনিধ দল। বিভিন্ন জেলায় স্থায়ী সরকারি কর্মীর পরিবর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সংক্রিয় কর্মীদের বিএলও পদে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। এবিষয়ে ১৮৯৮টি বিএলও পদে স্থায়ী সরকারি কর্মী নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।

    —-

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)