বিধান সরকার: চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়েছিল পোলবার শঙ্করবাটি গ্রামের বারোয়ারীর সদস্যরা। শঙ্করবাটি হাই স্কুলে দুর্গা পুজো হয়। জানা গিয়েছে, ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও পিছনে থাকা চারচাকা গাড়িটি তখনও যায়নি। সেই গাড়িতে চালক-সহ ছয়জন ছিলেন।
পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, অনেক দেরি হচ্ছে তখনও ওই চারচাকা গাড়ি কেন ফিরছে না দেখে ওই গাড়িতে থাকা একজনকে ফোন করা হয়। পুলিস ফোন ধরে এবং জানায় যে দুর্ঘটনা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছায়। তাদের উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। গতকাল মধ্যরাতে চন্দননগর রেল ওভার ব্রিজ থেকে নামার সময় রাস্তার পাশে থাকা ইটের পাঁজায় সজোরে ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। একজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে চুঁচুড়ায়।
মৃতদের নাম,ভাস্কর দেবধারা(২৯) বাড়ি সুগন্ধার শঙ্করবাটি, প্রীতম চক্রবর্তী(৩০) ও স্বপন দে(৪০) চন্দননগর কাঁটাপুকুর। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে চন্দননগর থানার পুলিস রসতলে পৌঁছায়। তারপর পড়বা থানার পুলিস সেখানে যায়। যার জমির সামনে ইটের পাঁজা ছিল তিনি বলেন, প্রচণ্ড গতিতে গাড়িটি এসে ধাক্কা মারে। গাড়িতে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত তারা মদ্যপান করেছিল। মৃতদেহ ময়না তদন্ত হবে আজ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। ঘটনায় শোকের ছায়া শঙ্কর বাটি গ্রামে।