মাথার দাম ১৩ লক্ষ, নির্মাণকর্মী সেজে আমজনতার মাঝে মাও দম্পতি, পাকড়াও করল পুলিশ
প্রতিদিন | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বিরাট সাফল্য। এবার ছত্তিশগড়ে ধরা পড়ল শীর্ষ মাওবাদী দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী দুই লাল সন্ত্রাসীর মাথার দাম রাখা হয়েছিল ১৩ লক্ষ টাকা। ছত্তিশগড়ের রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা SIA-র হাতে ধরা পড়েছে ওই মাও দম্পতি।
দুই অভিযুক্তের একজন যজ্ঞু কুরসাম ওরফে রবি ওরফে রমেশ। ২৮ বছর বয়সি ওই মাও নেতার মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। তাঁর স্ত্রী কমলা কুরুসামের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর চাঙ্গোরভট্ট এলাকা থেকে এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্মাণশ্রমিক সেজে এই দম্পতি তলায় তলায় সংগঠনের কাজ করে চলেছিলেন।
আসলে এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে তদন্তকারীদের রেডারে থাকলেও তাদের গ্রপ্তার করা যায়নি। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কখনও রায়পুর, কখনও ভিলাই, কখনও দুর্গ, এভাবে কিছু দিন অন্তর অন্তরই জায়গা বদল করে থাকছিলেন। আর থাকছিলেন আমজনতার ভিড়ে। তাঁরা যে মাও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মোটেই টের পাননি কেউ। মাও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতানেত্রীরা সচরাচর এভাবে থাকেন না। তাঁরা গভীর জঙ্গলে লুকিয়েই অপারেট করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ধরা পড়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদ মুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে বহু মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে।