• ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে জটিলতা অব্যাহত, রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পূর্ববর্তী কয়েক মাসে সুপ্রিম কোর্টের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও রাজ্যের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে এখনও সমাধান মেলেনি। এর আগে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত একটি উচ্চপর্যায়ের সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল। কমিটিতে আছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত।


    উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যোগ্যতার ক্রম অনুযায়ী তিনজন সম্ভাব্য উপাচার্যের নামের তালিকা তৈরি করে দেয়। তার মধ্যে রাজ্য সরকার ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজনের প্যানেল অনুমোদন দিয়েছে, তবে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্যানেলে আপত্তি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আচার্য চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত প্যানেল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

    শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ন’টি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার আর্জি জানান। তবে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ এই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্য সরকার ও আচার্যের মধ্যে সমঝোতা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সিঙ্ঘভি। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে আচার্যের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব নিতে।

    এছাড়া, উপাচার্য নিয়োগে আপত্তির কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুজোর ছুটির পর, ৬ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এই শুনানিতে কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ও বারাসতের রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সম্পর্কিত কমিটির রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)