ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কদর্য গালিগালাজ, গ্রেপ্তার যুবক...
আজকাল | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফেসবুক লাইভে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কুরুচিকর ও অসম্মানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে নদীয়ার আড়ংঘাটা এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ধানতলা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ধানতলা থানার অন্তর্গত আড়ংঘাটা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে অভিযুক্ত যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এমন কিছু মন্তব্য এবং গালিগালাজও করে বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্বজিতের এই কার্যকলাপের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অপমানজনক বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন। স্থানীয়রা দাবি তোলেন, সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। সেই সেনাদের নিয়ে কটাক্ষ মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। এরপরই ধানতলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে এবং শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত বিশ্বজিতকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার ধৃত যুবককে রানাঘাট আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চালানো হবে। তবে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ আদালতে এবং পুলিশের কাছে নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সে জানায়, আবেগের বশে এমন মন্তব্য করেছে এবং এখন তার জন্য অনুতপ্ত। এছাড়াও ভবিষ্যতে এমন আচরণ আর কখনও করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বজিৎ। আদালত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনও বক্তব্যের দায়ভার বহন করতে হয় ব্যক্তিকেই। বিশেষ করে সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আরও বেশি সচেতনতা দরকার। আইনি মহলের মতে, দেশের সেনাবাহিনী বা যে কোনও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে কোনো মর্যাদাহানিকর বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেই গণ্য হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালিয়ে এমন অপপ্রচার রুখতে তারা কড়া পদক্ষেপ নেবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছেও আহ্বান জানানো হয়েছে, কেউ এমন কুরুচিকর মন্তব্য যদি করে তবে সেটা অন্যরা যেন সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানায়। ঘটনার পর আড়ংঘাটা এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও, সাধারণ মানুষ অভিযুক্তের এমন মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকেও এমন ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সকলকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।