• পঞ্চমীর সকালে দুঃসংবাদ, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেহালায় মৃত্যু হল বৃদ্ধার...
    আজকাল | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতায় ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এবার ঘটনাস্থল বেহালা-সরশুনা এলাকা। শনিবার পঞ্চমীর সকালে ৬৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এলাকায় জমে থাকা জলের ওপর দাঁড়িয়ে দোকানের শাটার খোলার চেষ্টা করছিলেন বৃদ্ধা। সেই শাটার খুলতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে, শাটারে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শক খান তিনি। কোনওভাবে ইলেকট্রিকের তার শাটারের সঙ্গে লেগে ছিল। জলে দাঁড়িয়ে সেখানে হাত লাগতেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম শ্রাবন্তী দেবী।

    তিনি সরশুনার ক্ষুদিরাম পল্লির তালপুকুর রোডের বাসিন্দা। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি দোকান খুলতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং সিইএসসিকে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সম্প্রতি, গত সোমবার সারারাতের বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছিল গোটা কলকাতা। সেই জল এখনও নামেনি অনেক জায়গায়। উৎসবের আবহে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল।

    একরাতেই অতি প্রবল বৃষ্টির জেরে মৃত্যুমিছিল দেখা যায় শহরে। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে ক্রমশ। মঙ্গলবার জানা যায়, ন’জনের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই হয়েছে। এক ব্যক্তির দেহ জমা জলে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, ওই ব্যক্তিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন নেতাজিনগরের বাসিন্দা, একজন কালিকাপুরের বাসিন্দা, একজন বালিগঞ্জ প্লেস (গড়িয়াহাট) এর বাসিন্দা, একজন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা, একজন একবালপুরের বাসিন্দা, একজন হরিদেবপুরের বাসিন্দা, একজন বেহালার ও একজন শেক্সপিয়ার সরণির বাসিন্দা।

    কয়েকঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে শহর। উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ কলকাতা একপ্রকার জলের তলায়। জলমগ্ন গোটা সল্টলেক চত্বর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাও। মঙ্গলবার শহরের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে, মানিকতলা থেকে মুদিয়ালি, সর্বত্র কোমর জল। ডুবে গিয়েছে রাস্তা-ঘাট। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি, অটো জলের তলায়। লাইনে জল জমে গিয়ে ব্যাহত ট্রেন, মেট্রো চলাচল। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শহরবাসী মনে করতে পারছেন না, প্রতি বর্ষায় কম বেশি জলযন্ত্রণা হলেও, শেষ কবে এই পরিমাণ বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে শহর।
  • Link to this news (আজকাল)