• সজল ঘোষের পুজোয় পুলিশি নোটিস
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • গত ২৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করে গিয়েছেন। তারপরের দিনেই মণ্ডপের লাইট এন্ড সাউন্ড সংস্থার কাছে এল পুলিশি নোটিস। শনিবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে লাইট এন্ড সাউন্ড সংস্থার কাছে মুচিপাড়া থানা থেকে এল নোটিস। নোটিসে সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক তথ্য চাওয়া হয়েছে। সংস্থাটির লাইসেন্স, পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তির নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

    জিএসটির নথি এবং সাউন্ড লিমিটের নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এবারের থিম হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। মহালয়ার পর থেকে মানুষের ভিড় নেমেছে এই পুজো মণ্ডপে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার এই নোটিস প্রসঙ্গে নতুন করে রহস্যের দানা বেঁধেছে।

    পুজোর আবহে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা সজল ঘোষ। সমাজমাধ্যমেও এই ধরনের পোস্ট করছিলেন তিনি। এরই মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের লাইট ও সাউন্ড সংস্থার কাছে নোটিস চেয়ে পাঠাল পুলিশ। রাজস্থানের লাইটিং ও সাউন্ড সংস্থার কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে হাইকোর্ট ও দূষণ পর্ষদের নির্দেশের উল্লেখ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সজল ঘোষ বলেছেন, ‘এই পুজো পুলিশের অনুমতি নিয়েই করা। তাও নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে বাইরে থেকে আসা লাইটিং সংস্থাকে। এভাবে আমাদের পক্ষে পুজো চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কতটা সম্ভব হবে তা আমরা ভেবে দেখছি।’

    তৃণমূলের তরফে অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, ‘সজল ঘোষ এখন সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এইসব করছেন। প্রশাসনকে গালিগালাজ করলে বিতর্ক তৈরি হবে। সেই বিতর্ক তৈরি হওয়ার জন্যই তিনি এইসব করছেন। লাইটিং সংস্থা গুলি যে মণ্ডপে কাজ করছে যদি কোনও ভাবে দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায় নেবে কে। এই কারণেই পুলিশ সংস্থার লাইসেন্স চেয়েছে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)