• জঙ্গলের মধ্যে অস্ত্রের কারখানা! নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ধ্বংস মাওবাদীদের শক্তির উৎস
    প্রতিদিন | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গলের ভিতর গোপনে চলছিল অস্ত্র তৈরির কারবার। ছত্তিশগড়-সহ আশেপাশের রাজ্যগুলিতে মাওবাদীদের হাতে এখান থেকে প্রস্তুত হয়ে যেত অস্ত্র। মাওবাদীদের সেই অস্ত্রঘাঁটিতেই এবার আঘাত হানল নিরাপত্তাবাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার মেট্টুগুড়া অঞ্চলে অবস্থিত মাওবাদীদের অস্ত্র কারখানা। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র।

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার মেট্টুগুড়া অঞ্চলে মাও-দমন অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান চালানোর সময় নজরে পড়ে ওই অঞ্চলে বিশাল অস্ত্রের কারখানা তৈরি করেছে মাওবাদীরা। পাহাড়-জঙ্গলের মধ্যে থাকা এই বিরাট অস্ত্র কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে বিরাট পরিসরে এই অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির ঘাঁটি তৈরি করেছিল মাওবাদীরা, তা চমকে দেওয়ার মতোই। অনুমান করা হচ্ছে, নিরাপত্তাবাহিনীর উপর বড়সড় হামলা চালানোর প্রস্তুতি চলছিল এখান থেকে।

    নিরাপত্তাবাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযান চলাকালীন এই অস্ত্রের ঘাঁটি থেকে একটি ভার্টিক্যাল মিলিং মেশিন, বেঞ্চ ভাইস, বিজিএল লঞ্চার এবং খালি খোলস, হ্যান্ড গ্রাইন্ডার, কাঠের রাইফেলের বাট, ট্রিগার মেকানিজম, সোলার ব্যাটারি, ড্রিলিং বিট, আইইডি পাইপ এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল পরিমাণে জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের অস্ত্র ভাণ্ডারে এই অভিযান এক বিরাট সাফল্য।

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। ২০২৪ সালে বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জন মাওবাদীর। গ্রেপ্তার হয়েছে হাজারেরও বেশি, পাশাপাশি আত্মসমর্পণ করেন ৮৩৭ জন। ২৪-এর পর ২০২৫ সালে অভিযানের ঝাঁজ আরও বেড়েছে। রিপোর্ট বলছে, গত ৯ মাসে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ২১০ জন মাওবাদীর। এদের মধ্যে শুধুমাত্র ছত্তিশগড়ে ১৩ জন শীর্ষ মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে। যাদের মাথার ন্যূনতম ২০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)