এখনও ছন্দে ফেরেনি কাশ্মীরের পর্যটন, বিপাকে হাউসবোট ও শিকারা মালিকরা
বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফিরদৌস হাসান শ্রীনগর
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা পর কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস। এখনও সন্ত্রাসবাদের ক্ষত দগদগে। তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পর্যটনে। বাঙালি আর কিছুটা দক্ষিণ ভারত ছাড়া ভূস্বর্গে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন পর্যটকেরা। ফলে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন হাউসবোটের মালিকরা। কাশ্মীরি আতিথেয়তার অন্যতম নিদর্শন ছিল এক বোটগুলি। কিন্তু, অতিথির অভাবে এর রক্ষণাবেক্ষণও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিকারাওয়ালা আব্দুল কায়ুম দার বলেছেন, সংখ্যায় আগের থেকে কম হলেও পশ্চিমবঙ্গ আর দক্ষিণ ভারত থেকেই পর্যটকরা এখানে আসছেন। পুজোর ছুটি কাটাতে বাঙালিরা কাশ্মীরে আসছেন। হায়দরাবাদ ও তামিলনাড়ু থেকেও পর্যটকরা আসছেন। হাউসবোটের মালিক মহম্মদ ইয়াকুব দুঙ্গো বলছিলেন, ‘২২ এপ্রিলের (পহেলগাঁও হামলার দিন) পর থেকে মাত্র একটি দেড় হাজার টাকার বুকিং পেয়েছি। গত শতকের ন’য়ের দশকেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। কমবেশি বুকিং মিলত। কিন্তু এবার সব শেষ।’ এই অবস্থার জেরে সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন ইয়াকুব। তাঁর গলায় একরাশ হতাশা। বলেন, সন্তানদের স্কুলের ফিজও দিতে পারছি না। তাছাড়া, হাউসবোটের মেরামতিতেও সমস্যা হচ্ছে। বছরের এই খাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। কিন্তু, এবার খাবারই জোটাতে পারছি না। আর রক্ষণাবেক্ষণ। ইয়াকুব কোনও ব্যতিক্রম নন। কাশ্মীর হাউসবোট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মানজুর আহমেদ পাখতুন জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে ৭৫০টি হাউসবোট রয়েছে। তাতে তিন হাজারের বেশি ঘর রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৩০-৪০টিতে পর্যটক রয়েছেন। বাকিগুলি খালি। সমস্যায় পড়েছেন ডাল লেকের শিকারা চালক ও অন্যান্য দোকানদাররাও। তাঁরা বলছেন, পর্যটকরা নেই। তাই বিক্রি বন্ধ। আমরা খুবই সমস্যায় রয়েছি। -ফাইল চিত্র