পবিত্র রায়, রাজগঞ্জ: রাজগঞ্জ ব্লকে ৬০ বছর ধরে নজরকাড়া দুর্গাপুজো করে আসছে বটতলা নবজীবন ক্লাব অ্যান্ড লাইব্রেরি। প্রতি বছর দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় খুঁটিপুজোর মধ্যদিয়ে। মঙ্গলবার খুঁটিপুজোর মধ্যদিয়ে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়। এই পুজো এবারে ৬০তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রত্যেক বছর কিছু না কিছু বিশেষ বিশেষ চমক দিয়ে আসছে বটতলা সর্বজনীন তথা নবজীবন ক্লাবের পুজো। এবার কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ক্লাব সংলগ্ন কেবলপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ।
পুজোর উদ্যোক্তারা বলেন, পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। তাই গোটা মণ্ডপটি বাঁশ, প্লাইউড দিয়ে তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে নানা কারুকার্য সহ এলইডি লাইট দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পুজো মণ্ডপ তৈরি করেছে জলপাইগুড়ির ডেকোরেটর। প্রতিমা নিয়ে আসা হয়েছে শিলিগুড়ি কুমোরটুলি থেকে। পুজোর সময় রাস্তাজুড়ে রয়েছে চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা ।
ক্লাব সদস্য প্রশান্ত রায়, স্নেহাংশু লাহিড়ি, বাপি দাস, তাতাই দাস, সুমন দাস, আবির মিত্র শুভম বসাক,নকুল দাস, সাইদুর, জীবন বসাকরা বলেন, আমাদের পুজোয় থিমের চাইতে বেশি গুরুত্ব পায় মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য নির্মল কান্তি সরকার বলেন, এবারে আমাদের বাজেট ন’লক্ষ টাকা। মণ্ডপ তৈরিতে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপে থাকছে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। অষ্টমী ও নবমীতে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আমাদের এই পুজো দেখতে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। এটা আমাদের কাছে সবথেকে বড় পাওনা। পুজোর দিনগুলি বয়স্ক থেকে ছোট সকলেই একসঙ্গে কাটাই।