গোপাল সূত্রধর, বালুরঘাট: পুজো মণ্ডপ উত্তর ভারতের একটি মন্দিরের আদলে। প্রতিমায় সাবেকিয়ানা। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় বালুরঘাটের ক্রান্তি চক্র ক্লাবের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন গৌড়ীয় মঠের মহারাজ। উদ্বোধনের পরেই খুলে দেওয়া হয়েছে পুজোর মণ্ডপ। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রাজু সাহা এবং বিপ্লব কর্মকার বলেন, প্রতিবছর আমাদের পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ থাকে। এবছর উত্তর ভারতের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ করা হয়েছে।
বালুরঘাটের এই ক্লাবের পুজো এবার ৫৯ তম বর্ষে। মণ্ডপের ভিতরে চোখ ধাঁধানো কারুকার্য করা হয়েছে। শোলা দিয়ে মণ্ডপ নির্মাণ হয়েছে। জাতীয় সড়কের ধারেই এই ক্লাব। বালুরঘাট শহরে জাতীয় সড়কের দু’পাশে বাহারি আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপের ধারে জাতীয় সড়কে আলপনাও দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সমাজসেবা এবং খেলাধুলোর স্বার্থেই ১৯৬৭ সালে ক্রান্তি চক্র ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। করেছিলেন পাড়ার একদল যুবক। পরবর্তীতে পুজো ও নানা সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে ক্লাবটি। এবছর মহালয়ায় রক্তদান শিবির করে ক্লাবটি। দুঃস্থ এবং রোগীদের ফলও বিতরণ করেন ক্লাবের সদস্যরা। বৃক্ষরোপণ, চারাগাছও বিলি হয়। পুজোয় সপ্তমীতে বস্ত্র বিতরণ হবে।
শহরের সব ক্লাবের প্রতিমা আত্রেয়ী নদীতে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। কিন্তু ক্রান্তি চক্র ক্লাবের প্রতিমা নদীতে নিরঞ্জন দেওয়া হয় না। ক্লাবের কাছেই ডাঙ্গা খাঁড়িতে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। তবে এবছর নিরঞ্জনের আগে শহরে একটি শোভাযাত্রার ভাবনা নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। নিজস্ব চিত্র