• ডুয়ার্স ভ্রমণে নয়া আকর্ষণ, চা বাগানের শতাব্দীপ্রাচীন ব্রিটিশ বাংলোয় রাত্রিবাস
    বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ব্রতীন দাস •,লাটাগুড়ি:

    এবার পুজোয় ডুয়ার্স ভ্রমণে নয়া আকর্ষণ চা বাগানের ব্রিটিশ বাংলোয় রাত্রিবাস। সেই বাংলো, ১৮৫৮ সালে যেখানে থেকেছিলেন ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং! সেই হেরিটেজ বাংলোতেই এবার পুজোর ছুটি কাটাতে পারেন আপনিও। সাহেবি আদবকায়দার সঙ্গেই বাঙালিয়ানার মিশেল মুগ্ধ করবে পর্যটকদের। 

    গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের কাছেই বড়দিঘি চা বাগান। এই বাগানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৪১ সালে। ব্রিটিশ কোম্পানি থেকে বাগানের মালিকানা আসে রায়ডাক সিন্ডিকেট লিমিটেডের হাতে। ৬১৯ হেক্টর এলাকাজুড়ে থাকা ওই বাগানে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল ইংরেজ সাহেবদের। তাদের থাকার জন্যই চা বাগানের মাঝে তৈরি হয় বিশাল বাংলো। আজও রয়েছে সেটি। ব্রিটিশ আমলের ওই বাংলো খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। চা বাগানের ওই বাংলোতে রয়েছে সুইমিং পুল, ইন্ডোর-আউটডোর গেম জোন, লাইব্রেরি, বৈঠকখানা, নেচার ওয়াক, জিপসি সাফারি সহ আরও কত কী! সঙ্গে চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য মন কেড়ে নেবে। বহু সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে এখানে। থেকে গিয়েছেন অভিনেতা, অভিনেত্রীরা।

    পুজোয় বড়দিঘি চা বাগানের বাংলোয় অতিথিদের জন্য মেনুতে থাকছে ‘দশভুজা থালি’। গরমভাতে ঘি, বেগুনি থেকে শুরু করে চাটনি, পায়েস। দুপুরে ভাতঘুম দেওয়ার পর বিকেলে চা বাগান কিংবা জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন পর্যটকরা। হেঁটে চলে যাওয়া যেতে পারে নেওড়া নদীর পারে। সন্ধ্যায় বাংলোর লনে বসে দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিতে দিতে শুনতে পাবেন ময়ূরের ডাক। বইপোকারা বাংলোর লাইব্রেরিতেই সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। থাকছে কন্টিনেন্টাল ডিনার। চাইলে চাইনিজ কিংবা বাঙালি খাবারও পেয়ে যাবেন। পরদিন সাহেবি ব্রেকফাস্ট কিংবা বাঙালিয়ানায় মোড়া লুচি-আলুর দম— পছন্দমতোই ব্যবস্থা হবে। খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুরে দেখতে পারেন টি ফ্যাক্টরি। এখান থেকেই গোরুমারার জঙ্গলে সাফারির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে বড়দিঘি চা বাগানের বাংলোয় রাত্রিবাস করতে গেলে আপনাকে একটু বেশি খরচ করতে হবে। কারণ, এখানে ডবল বেডরুমের ভাড়া শুরু হচ্ছে সাত হাজার টাকা থেকে। সঙ্গে কপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট।

    চা বাগানের বাংলোর ম্যানেজার সুরজিৎ সাহা বলেন, ‘আমাদের বাংলোটি দেড়শো বছরের পুরনো। এখানে রয়েছে ছ’টি পরিপাটি কক্ষ। রয়েছে ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত নানা সামগ্রী। এখানে আজও সযত্নে রাখা লন্ডনের স্ট্যান্ড ফ্যান। শিকাগোর টেলিফোন। আমাদের নিজস্ব জিপসিতে ঘুরিয়ে দেখানো হয় গোটা চা বাগান।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)