• পুজোয় নিরাপত্তার চাদরে রামপুরহাট, বেচাল দেখলেই ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে
    বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মন দিয়ে পুজো দেখুন। কিন্তু অন্য অভিসন্ধি থাকলে সাবধান। আড়াল থেকে আপনাকে নজরে রেখেছে পুলিশের চোখ। পুজো মণ্ডপে বা রাস্তায় বেয়াদপি করতে দেখলেই আপনার ঠাঁই হতে পারে হাজতে। পুজোর সময় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রামপুরহাট শহর। এবার খোদ পুলিশ আধিকারিকরা বাইক চালিয়ে শহরের অলিগলিতে নজরদারি চালাবেন। সেই সঙ্গে যান নিয়ন্ত্রণে শহরে ঢোকার সব রাস্তায় থাকছে ড্রপ গেট। বন্ধ থাকবে টোটো চলাচল। 

    পুজোয় রামপুরহাটকে এবার কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইভটিজিং ও মহিলাদের নিরাপত্তায় থাকবে পিঙ্ক পুলিস। এছাড়া বাইক মোবাইল পুলিশ, কুইক রেসপন্স টিম, মহিলা বাহিনী, অ্যান্টি ক্রাইম টিমও থাকছে। যাতে কোনও প্রয়োজন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রোমিওরা কোনওরকম বেচাল কিছু করলে পুজোর ভিড় থেকে একেবারে হাজতে ঠাঁই হতে পারে। নিরাপত্তার সঙ্গে এবার মদ্যপদের শায়েস্তা করতে থাকছে সাদা পোশাকের প্রচুর পুলিশ। মহকুমা শহর রামপুরহাটে ঠাকুর দেখতে দূরদূরান্তের গ্রামের মানুষ ভিড় করেন। এখন পঞ্চমী থেকেই মানুষের ঢল রাস্তায় নেমে পড়ে। দশমীতেও কালো মাথায় ঢেকে যায় শহরের রাস্তা।  

    এক পুলিশ কর্তা বলেন, দেশের নানা প্রান্তে অস্থিরতা যে ভাবে বাড়ছে তাতে উৎসবের দিনগুলিতে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে তার জন্যই পুলিশ এবার অতিমাত্রায় সর্তক। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকেও  জেলার পুলিশ কর্তাদের ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে, ‘কোনও শিথিলতা নয়’। পুজোর দিনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ত্রুটিহীন রাখতে পুলিশ কর্তারা এবার মরিয়া। 

    রামপুরহাটের যে সব জায়গা দিয়ে মানুষ শহরে ঠাকুর দেখতে ঢোকেন, সেই রাস্তাগুলিতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকছে ড্রপ গেট। শনিবার থেকেই শহরে ভারী যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এবং ওয়ান ওয়ে করে দেওয়া হয়েছে। সপ্তমীতে ঘট ভরা ও দশমীতে বিসর্জনের জন্য সকালে টোটো চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ষষ্ঠী থেকে দশমীর বিকেলে চারটে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টোটো চলাচল করতে পারবে না। এমনকি, যারা চার চাকার গাড়িতে চেপে মণ্ডপ  ও  ঠাকুর দেখার কথা ভাবছেন! সাবধান। শহর ঢোকার মুখেই পুলিশ গাড়ি আটকে দেবে। পায়ে হেঁটে বা বাইকে ঠাকুর দেখা ছাড়া উপায় নেই। তবে বাইকে ঘুরলে চালক ও আরোহীর অবশ্যই হেলমেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা চাই। নতুবা পুলিশি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য বছরগুলির তুলনায় এবছর পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। শহরে লাগোয়া একাধিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। প্রতিটি বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য বলা হয়েছে। যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। মোটের উপর নিশ্চিন্তে পুজো দেখার সব উপকরণই মজুত থাকছে রামপুরহাটে। 
  • Link to this news (বর্তমান)