সংবাদদাতা, কাঁথি: সৈকতশহর দীঘা ও রামনগরের পুজোয় এবার থিমের ছড়াছড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুজোয় আনন্দে মেতে উঠবেন পর্যটকরাও। এবার দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি পুজোর সময় মায়াপুরের ইসকন মন্দির দর্শনের অভিজ্ঞতাও হবে। দীঘা সর্বজনীন দুর্গা ও লক্ষ্মীপুজো কমিটির ৭৯তম বর্ষের পুজোয় ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হবে। মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা থাকবে। ওল্ড দীঘায় বিশ্ববাংলা-১ উদ্যানের কাছে এই মণ্ডপ হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক তথা পদিমা-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত পাত্র বলেন, চারদিন ধরে নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
দীঘা যুব দুর্গোৎসব কমিটির মণ্ডপসজ্জায় আবার আস্ত কেদারনাথ মন্দির উঠে আসছে। দীঘায় একাধিক হোটেলমালিক সংগঠনও পুজো করে। গত মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি নিউ দীঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীঘার টাউন ফ্রেন্ডস ক্লাব, ব্যারিস্টার কলোনি, সারদা রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের পুজোও উল্লেখযোগ্য। পুজোয় দীঘায় বেড়াতে এসে পর্যটকরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এসব দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি দেন। সেইসঙ্গে নানা কর্মসূচিতে সামিল হয়ে বেড়ানোর আনন্দ দ্বিগুণ করে নেন। রামনগর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি পড়শি রাজ্য ওড়িশা থেকেও বহু মানুষ দীঘার দুর্গাপুজো দেখতে আসেন।
দক্ষিণ ভারতের চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে দর্শনার্থীদের তাক লাগাতে চলেছে রামনগরের ‘আনন্দমঠ’। রামনগর আরএসএ ময়দানের কাছে আনন্দমঠের পুজো এবার ১৬তম বর্ষে পা দিল। সুউচ্চ ও সুদৃশ্য মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা গড়ে তোলা হয়েছে। আনন্দমঠের সম্পাদক সুদীপ দাস ও সভাপতি রণেন মাইতি বলেন, পুজোর কয়েকদিন মানবসেবার নানা কর্মসূচি ও নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবার রাজস্থানের একটি রাজপ্রাসাদের আদলে সুউচ্চ মণ্ডপ গড়ে তুলেছে। সঙ্গে থাকছে পিতলের প্রতিমা। পুজো এবার ৪১তম বর্ষে পা দিয়েছে। মহালয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন। রামনগরের দু’টি মণ্ডপেই দূরদূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী ভিড় জমাবেন। • নিজস্ব চিত্র